মেহেরপুরে শহীদ তারিক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) ১১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেলে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে শহীদ তারিক ট্রাস্ট এর আয়োজন করে।
ট্রাস্টের সভাপতি ও সাইফুলের ভাই তারিক মুহাম্মদ তাওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদ তারিক মুহাম্মদ সাইফুলের সংগ্রামী জীবন সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এ আয়োজন। এখন ভয় দূর হয়েছে, তাই এখন সবার মনে সাহস ছড়িয়ে দিতে হবে। স্বৈরাচারের দোসররা যেকোনো সময় আমাদের উপর আবারও হানা দিতে পারে। এজন্য তাদের বিষয়ে সোচ্চার থাকতে হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমির তাজ উদ্দিন খান বলেন, মেহেরপুরে শহীদ তারিকসহ পাঁচ জনকে শহীদ করা হয়েছে। হাজারো নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারপরও এই আন্দোলনের নেতা কর্মীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। আগামীতে আন্দোলনকে বেগবান করতে বাধা এলে হাজার হাজার নেতাকর্মী তারিক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের মতো জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
এসময় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন, সমাজকল্যাণ সেক্রেটারি জারজিস হোসাইন, রাজনৈতিক সেক্রেটারি কাজি রুহুল আমিন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, বিশিষ্ট চিকিৎসক আব্দুস সালাম, সদর উপজেলা আমির সোহেল রানা, মুজিবনগর উপজেলা আমির খাঁন জাহান আলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা শেষে তার মাগফেরাত কামনা দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহীদ তারিক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের জীবন ও কর্ম নিয়ে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি মেহেরপুর ইসলামী ব্যাংকের নিচ থেকে তারিক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশের একটি টিম। পরে রাতে অস্ত্র উদ্ধারের নামে বন্দর নামক স্থানে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় বলে দাবি করে পুলিশ। তবে পরিবারের সদস্যরা একে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করে আসছেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে তার পরিবার। তারিক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মেহেরপুর জেলার সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর মেহেরপুর জেলার সহকারী সেক্রেটারি ছিলেন।
আসিফ ইকবাল/এএইচ/এমএস