দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সামান্য বাতাস বা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। সবশেষ গত শনিবার থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত শহর ও শহরতলীতে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) অধীন মোংলা বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিস পরিচালিত হয়। গ্রামাঞ্চলে পল্লী বিদ্যুতের লাইন হলেও পৌর শহর এলাকায় এদের সরবরাহ লাইন থেকে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। মোংলা বিদ্যুৎ সরবরাহের অধীন প্রায় পাঁচ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এখান থেকে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১২ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিভাগ আয় করে।
এদিকে মোংলায় বিদ্যুতের লাইন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গ্রাহক সেবায় উদাসীনতা, কর্তব্য অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠেছে। তাদের গাফিলতির কারণে গত কয়েক মাস ধরে মোংলা শহরে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে।
বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা বলেন, কোথায় ফল্ট হয়েছে তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হবে তা বলতে পারছি না।
মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মো. নূর আলম শেখ বলেন, দিন-রাতে কয়েক দফায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় কারণে নাগরিক জীবন প্রায় বিপর্যস্ত। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়াসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে মোংলা বিদ্যুৎ সরবরাহের আবাসিক প্রকৌশলী মনোয়ার জাহিদ বলেন, গ্রিড ও আবহাওয়াজনিত কারণে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। এছাড়া পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে লাইনের ক্রুটি মেরামতে বেগ পেতে হয়।
আবু হোসাইন সুমন/জেডএইচ/এমএস