ময়মনসিংহে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে বেশিরভাগ সবজির দাম। একইসঙ্গে কমেছে গরুর মাংসের দাম। তবে স্থিতিশীল অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে মাছ, মুরগি ও খাসির মাংস।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে শহরতলির ঐতিহ্যবাহী শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা এসব তথ্য জানা যায়।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, সবচেয়ে কমেছে শিমের দাম। বাজারে শিমের সরবরাহ সবচেয়ে বাড়ায় কেজিতে ৫০ টাকা কমে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শসা ৪০ টাকা থেকে কমে ৩০, করলা ৯০ টাকা থেকে কমে ৮০, ধুন্দল ৬০ টাকা থেকে কমে ৫০, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা থেকে কমে ৫০, মোটা গোল বেগুন ১১০ টাকা থেকে কমে ১০০, কাঁচা পেঁপে ২৫ টাকা থেকে কমে ২০ টাকা কেজিতে ও কাঁচা কলা ৪০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে চায়না গাজর কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচামরিচ ১৪০, ঝিঙে ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঢ্যাঁড়স ৭০, টমেটো ১১০, কাঁকরোল ৮০, চিকন বেগুন ৭০, পটোল ৬০, কচুরমুখী ৩০, লাউ ৭০ টাকা কেজিতে ও লেবু ২০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারে রুই ৩৪০-৪৪০, কালবাউশ ৩৫০-৪১০, মৃগেল ৩০০-৩৫০, শিং ৩৬০-৬৫০, কৈ ২৭০-৩৬০, সিলভার কার্প ২৪০-৩০০, তেলাপিয়া ২২০-৩০০, শোল ৬১০-৮৯০, ট্যাংরা ৫৫০-৮৭০, টাকি ৪৩০-৫৮০, কাতলা ৩৬০-৪২০, পাঙাশ ১৭০-২১০ ও পাবদা ৪০০-৫২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি, কক মুরগি ও খাসির মাংস স্থিতিশীল অবস্থায় বিক্রি হলেও গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৬০, কক মুরগি ৩০০, খাসির মাংস ১১৫০ ও গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম ৪০ টাকা হালি, দেশি মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিম ৭০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যাগ হাতে সবজি কিনছিলেন মধ্যবয়সি আব্দুল মোতালেব। এসময় কথা হয় তার সঙ্গে। আব্দুল মোতালেব বলেন, অনেক সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। বাজারে মনিটরিং জোরদার করা হলে দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গরুর মাংস কিনছিলেন শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগি কিনতে এসেছিলাম। এসে দেখি গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে। তাই এক কেজি মাংস কিনছি।
বাজারে এক যুগ ধরে সবজি বিক্রি করেন হাকিম মিয়া। তিনি বলেন, এই বাজার বিকেলে সবচেয়ে বেশি জমজমাট হয়। বর্তমানে বাজারে সবজির সরবরাহ আগের থেকে বেড়েছে। ফলে দাম যৎসামান্য কমেছে। সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে।
গরুর মাংস বিক্রেতা জাহিদ হোসেন বলেন, গরুর মাংসের তুলনায় ক্রেতা কম। দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। তাই দাম কমিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে আমাদের লোকসান হবে না। কারণ, গরু সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পেরেছি।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম বলেন, বাজারে আমাদের নজরদারি রয়েছে। সব বিক্রেতাদের ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে হবে। তা না হলে; আমাদের কাছে তথ্য আসলে অভিযান চালিয়ে অসাধু বিক্রেতাদের জরিমানার আওতায় আনা হবে।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এমএন/এএসএম

3 hours ago
4









English (US) ·