যবিপ্রবি অধ্যাপকসহ সাবেক দুই উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

3 hours ago 4
যোগ্যতা ছাড়াই সহকারী অধ্যাপক পদে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই উপাচার্যসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (০৩ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  দুদকের মামলায় ১নং আসামি ড. ইকবাল কবির জাহিদ ও ২, ৩ ও ৪নং আসামিরা হলেন যবিপ্রবির সাবেক দুই উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার ও অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোছা. ফেরদৌসী বেগম।  মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৯ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি নিয়োগ নীতিমালা ও ইউজিসির নির্দেশনা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘনপূর্বক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদকে অবৈধভাবে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এতে সম্পৃক্ত ছিলেন যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী বেগম।  বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সময় ড. ইকবালের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করার কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতা কিংবা তার কোনো পিএইচডি ডিগ্রি ছিল না। অর্থাৎ ড. ইকবাল কবীর জাহিদের সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ লাভের কোনো যোগ্যতা ছিল না। এ ছাড়া এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ড. ইকবাল ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বেতন হিসেবে ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৯ টাকা উত্তোলন করে সরকারি অর্থের ক্ষতিসাধন করেছেন, যা ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, এ চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের নানা অভিযোগ থাকায় মামলা করা হয়েছে।
Read Entire Article