যবিপ্রবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্যের পরিচয় ব্যবহার করে তথ্য পাঠানোর অভিযোগ, থানায় জিডি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. ইঞ্জি. মোঃ আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অন্যের নাম ব্যবহার করে তথ্য পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে যশোর কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিসে এ ঘটনা ঘটে। জিডির তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার মো. তহিদুল ইসলামের নাম, পরিচয় ও মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে তথ্য পাঠান। কী ধরনের তথ্য পাঠানো হয়েছিল তা পোস্ট অফিসের নিকট সংরক্ষিত থাকায় জানা যায়নি।তথ্য বুকিংয়ের সময় মো. তহিদুল ইসলামের মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করায় তার ফোনে পরপর তিনটি এসএমএস আসে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে যশোর কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করেন। পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এরপর তিনি বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।জিডির এজাহারে বাদী মো. ত

যবিপ্রবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্যের পরিচয় ব্যবহার করে তথ্য পাঠানোর অভিযোগ, থানায় জিডি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. ইঞ্জি. মোঃ আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অন্যের নাম ব্যবহার করে তথ্য পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে যশোর কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিসে এ ঘটনা ঘটে। জিডির তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার মো. তহিদুল ইসলামের নাম, পরিচয় ও মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে তথ্য পাঠান। কী ধরনের তথ্য পাঠানো হয়েছিল তা পোস্ট অফিসের নিকট সংরক্ষিত থাকায় জানা যায়নি।

তথ্য বুকিংয়ের সময় মো. তহিদুল ইসলামের মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করায় তার ফোনে পরপর তিনটি এসএমএস আসে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে যশোর কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করেন। পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এরপর তিনি বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

জিডির এজাহারে বাদী মো. তহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত। ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকাল আনুমানিক ৩টা ২৪ মিনিটে তার মোবাইল নাম্বারে পরপর তিনটি এসএমএস আসে, যেখানে উল্লেখ ছিল বাংলাদেশ পোস্ট অফিস, যশোর শাখা থেকে চিঠি বুক করা হয়েছে। উক্ত চিঠিতে তার নাম, অফিসের ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়, যা তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, “আজ দুপুর ৩টা ২৪ মিনিটের দিকে আমার ফোনে পরপর তিনটি ম্যাসেজ আসে। বিষয়টি বুঝতে না পেরে আমি যশোর পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করি। তখন পোস্ট অফিসের কর্মকর্তারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখালে সেখানে আমি ড. মোঃ আমজাদ স্যারকে দেখতে পাই। তিনি আমার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে আমার নাম ও নাম্বার ব্যবহার করে তথ্য পাঠিয়েছেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।”

তথ্য পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত ড. মোঃ আমজাদ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow