যাদের জন্য ডিম খাওয়া বিপজ্জনক
ডিম খান না দেশে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। কারণ, ডিম পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বেশ পরিচিত। আমাদের দেশে সাধারণত সকালের নাশতায় ডিমের প্রচলন বেশি দেখা যায়। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল—সবই মেলে এতে। ঠিক এ কারণেই ডিমকে বলা হয় সুপারফুড।
কিন্তু জানলে অবাক হবেন, যাদের ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই ডিম কখনো কখনো উপকারের বদলে হয়ে উঠতে পারে ক্ষতির কারণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত ডিম খাওয়ার ফলে নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই কার জন্য ডিম উপকারী, কার জন্য ক্ষতিকর এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
চলুন, জেনে নিই ডিম থেকে সতর্ক থাকবেন করা—
কোলেস্টেরল রোগীরা
ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায় কি না, এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের কুসুমে এমন উপাদান রয়েছে যা সরাসরি কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তাদের ডিম খাওয়া সীমিত করা উচিত।
হৃদ্রোগীরা
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়া ক্ষতিকর নয়। তবে এক দিনে তিন-চারটি ডিম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই হৃদ্রোগীদের ক্ষেত্রে ডিম খাওয়ায় সতর্কতা জরুরি।
স্থূলতায় ভোগা মানুষ
অনেকেই ওজন কমাতে ডিম খান। তবে অতিরিক্ত ডিম খেলে উল্টো ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ডায়াবেটিস রোগীরা
ডায়াবেটিস কেয়ার জার্নাল-এ ২০০৯ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানিয়েছে, যারা প্রতি সপ্তাহে সাতটির বেশি ডিম খেয়েছেন, তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে।
ডিম কীভাবে খাবেন?
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রতিদিন একটি সেদ্ধ ডিম খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। ভাজা বা অমলেটের বদলে সেদ্ধ ডিম খেলে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়, আবার ক্ষতির ঝুঁকিও কমে।
কতটি ডিম খাওয়া নিরাপদ?
ভারতের মায়ো ক্লিনিক হেলথের তথ্যমতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতি সপ্তাহে সাতটি ডিম খেতে পারেন। আবার আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, তিন মাস ধরে সপ্তাহে ১২টি ডিম খেলেও প্রিডায়াবেটিস বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যে তেমন প্রভাব পড়ে না।