বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, যারা নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলছেন এগুলো তারা তাদের বয়স, আবেগ এবং অপরিপক্বতার কারণে বলছেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভাত পানি দিয়ে খেতে পারছে না, অথচ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা রাতবিরাতে হাঁসের মাংস খুঁজতে বের হচ্ছে। তো তাদের কথাবার্তায় কতটা গুরুত্ব দেওয়া উচিত তা আমাদের নিজেদের বিবেকের কাছেই প্রশ্ন করা উচিত। এগুলো শুধু একটা পরিস্থিতি জিইয়ে রেখে নিজেদের যে উদ্দেশ্য সেইটাকে আদায় করে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই বোধহয় এসব কথাবার্তা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল প্রেস ক্লাবের হলরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমরা মনে করি ভবিষ্যতে ওই বয়সের তরুণ যুবকরাই নেতৃত্বে আসবে। সুতরাং তাদের আগে থেকেই যারা অভিজ্ঞ, বয়স্ক, যারা সৎ দেশপ্রেমিক তাদের কাছ থেকে শিখে তার পরে আচার-আচরণ ও কথাবার্তা সংযত হওয়া ভালো। সেটা গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে সহায়তা হবে।
তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি নিয়ে যারা কথা বলছেন ইতোমধ্যে তারাই ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দুটো সাংঘর্ষিক ব্যাপার একত্রিত হয় কি করে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি যদি হয় তাহলে তো প্রার্থী ঘোষণার প্রয়োজনই নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে এবং আমরা চাই নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হোক। একটা একাউন্টেবল গভার্নমেন্ট জনগণের কাছে যাদের জবাবদিহিতা আছে এই একাউন্টেবেল গভার্নমেন্ট না থাকার কারণে দেশে বিনিয়োগ পর্যন্ত হচ্ছে না। একাউন্টেবল গভার্নমেন্ট আসলে পরেই অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
তিনি বলেন, ব্যাংক খাতগুলো প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, ব্যাংক খাতকে নতুন করে পুনর্বাসিত করার জন্য দায়বদ্ধ সরকারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এদিক থেকেও নির্বাচনটা ফেব্রুয়ারিতেই দরকার।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে আসার বিষয় তিনি বলেন, তার স্পর্শকাতর একটি মমলা যেটা অ্যাপিলেট ডিভিশনে শুনানি চলছে। এই মামলাটির রায় ঘোষণার পরেই যদি খালাস পেয়ে যান তাহলে তিনি সমস্ত মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। তার পরই তিনি আসবেন এমনটাই আমাদের ধারণা।
আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বরিশাল প্রেস ক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম খসরুসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।