ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের শক্তিশালী তিন দেশ যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। এরপর এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ পর্তুগাল। দেশটিও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্তুগাল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। রোববার নিউইয়র্কে অবস্থিত পর্তুগালের স্থায়ী মিশনে এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রাঙ্গেল।
পর্তুগালের জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম আরটিপি জানিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ১৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে গৃহীত হয়েছিল। সিদ্ধান্তটি গ্রহণের আগে পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট এবং সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়।
ঘোষণায় রাঙ্গেল আরও বলেন, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ এবং সকল জিম্মিকে মুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছে।
পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সুজা সরকারিভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।
এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। এ ছাড়া ফ্রান্স, লাক্সেমবার্গ ও মাল্টা আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
এদিকে স্বীকৃতির ঘোষণায় আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। দখলদার দেশটির মতে, এ স্বীকৃতি সন্ত্রাসবাদীদের জন্য পুরস্কারস্বরূপ। এ ধরনের আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ তারা সাদরে মেনে নেবে না।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেছে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কেবল হামাসকে পুরস্কৃত করা হলো। এর পেছনে রয়েছে ব্রিটেনে তাদের সমর্থক গোষ্ঠী মুসলিম ব্রাদারহুডের উৎসাহ। হামাস নেতারা এই স্বীকৃতিকে ৭ অক্টোবরের হত্যাযজ্ঞের ফসল বলে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গাভির এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় নিজের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনারও আভাস দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে হত্যাকারী হামাস গোষ্ঠীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বাতিল করা উচিত। পরবর্তী ক্যাবিনেট মিটিংয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব প্রয়োগের প্রস্তাব তোলা হবে।