যুক্তরাজ্যে বৃদ্ধাকে ১৪৩ বার ছুরিকাঘাতে হত্যা, কিশোরীর বিচার শুরু
ইংল্যান্ডের নর্থ্যাম্পটনশায়ারের ওয়েলিংবরোতে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে নিহত হন পোল্যান্ড-বংশোদ্ভূত ৪৩ বছর বয়সী মার্তা বেদনার্সজিক। তার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত এক স্কুলছাত্রী হত্যার শাস্তি সম্পর্কে আগেই ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করেছিলেন বলে আদালতে জানিয়েছে প্রসিকিউশন। গত মার্চে নিউকোমেন রোডের একটি বাড়িতে আগুন লাগার পর দমকল ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধোঁয়ায় ভরা ঘর থেকে মার্তার দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে ময়নাতদন্তে উঠে আসে, আগুন নয়—ঘাড় ও পিঠের মারাত্মক আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্তার দেহে কমপক্ষে ১৪৩টি ধারালো অস্ত্রের আঘাত শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে ৬৫টি ছিল মাথা ও ঘাড়ে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হামলায় একাধিক ছুরি ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকি একটি ছুরিকাঘাত মাথার খুলি ভেদ করে মস্তিষ্কে পৌঁছেছিল। লিংকন ক্রাউন কোর্টে প্রসিকিউটর স্যামুয়েল স্কিনার কেস উপস্থাপন করে বলেন, কিশোরীটি হত্যার কয়েক সপ্তাহ আগেই পরিকল্পনা শুরু করে। সে বন্ধুদের জানিয়েছিল ‘হয়তো কিছুদিন স্কুলে যেতে পারবে না’। একই সঙ্গে ১৩ বছর বয়সী কোনো অভিযুক্ত হত্যার দোষী হলে কী সাজা হতে
ইংল্যান্ডের নর্থ্যাম্পটনশায়ারের ওয়েলিংবরোতে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে নিহত হন পোল্যান্ড-বংশোদ্ভূত ৪৩ বছর বয়সী মার্তা বেদনার্সজিক। তার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত এক স্কুলছাত্রী হত্যার শাস্তি সম্পর্কে আগেই ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করেছিলেন বলে আদালতে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।
গত মার্চে নিউকোমেন রোডের একটি বাড়িতে আগুন লাগার পর দমকল ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধোঁয়ায় ভরা ঘর থেকে মার্তার দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে ময়নাতদন্তে উঠে আসে, আগুন নয়—ঘাড় ও পিঠের মারাত্মক আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছিল।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্তার দেহে কমপক্ষে ১৪৩টি ধারালো অস্ত্রের আঘাত শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে ৬৫টি ছিল মাথা ও ঘাড়ে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হামলায় একাধিক ছুরি ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকি একটি ছুরিকাঘাত মাথার খুলি ভেদ করে মস্তিষ্কে পৌঁছেছিল।
লিংকন ক্রাউন কোর্টে প্রসিকিউটর স্যামুয়েল স্কিনার কেস উপস্থাপন করে বলেন, কিশোরীটি হত্যার কয়েক সপ্তাহ আগেই পরিকল্পনা শুরু করে। সে বন্ধুদের জানিয়েছিল ‘হয়তো কিছুদিন স্কুলে যেতে পারবে না’। একই সঙ্গে ১৩ বছর বয়সী কোনো অভিযুক্ত হত্যার দোষী হলে কী সাজা হতে পারে—সেটিও সে ইন্টারনেটে খুঁজেছিল বলে অভিযোগ।
প্রথমে ওই কিশোরী দাবি করেছিল, কোনো তৃতীয় ব্যক্তি এসে মার্তাকে আক্রমণ করেছে। কিন্তু পরে হাসপাতালে নেওয়ার সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা ও নার্স তাকে ‘হাসতে’ দেখেছেন বলেও আদালতে শোনা যায়।
যদিও অভিযুক্ত কিশোরী মার্তাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে, তবে সে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে ‘মানসিক সক্ষমতা হ্রাস’ এ সুরক্ষা দাবি করছে। তবে প্রসিকিউশন বলছে, কিশোরীর কাজকর্ম মানসিক অসুস্থতার ফলে নয়। এটি পরিকল্পিত হত্যা।
মামলার সংবেদনশীলতা ও অভিযুক্তের বয়স বিবেচনায় আদালতে বিচারকদের পোশাক থেকে শুরু করে কোর্টের সময়সূচি পর্যন্ত স্কুল ঘণ্টার সঙ্গে মিলিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১০ সালে পোল্যান্ড থেকে যুক্তরাজ্যে এসে লন্ডনে কিছুদিন থাকার পর মার্তা পরিবার নিয়ে ২০১২ সালে ওয়েলিংবরোতে স্থায়ী হন। স্থানীয় একটি গুদামে কাজ করে তিনি সংসার চালাতেন। তার মৃত্যুর পর পরিবার তাকে ‘পরিবারের স্তম্ভ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এমআরএম
What's Your Reaction?