যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে অব্যাহত পতন দেখছে ভারত। ট্রাম্প প্রশাসনের ধারাবাহিক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশটির রপ্তানিতে। এমনটাই জানিয়েছে থিংক ট্যাঙ্ক গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই)।
জিটিআরআই-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ১৬.৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা জুলাই মাসের ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে বড় পতন। এটি চলতি বছরের সবচেয়ে বড় মাসিক পতন।
জিটিআরআই-এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, রপ্তানি কমার হার সরাসরি শুল্ক বৃদ্ধির গতির সঙ্গে সম্পর্কিত। ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগস্টের শেষ নাগাদ আমদানি শুল্ক ৫০ শতাংশে গিয়ে ঠেকায় ভারতের পণ্যের দাম বেড়ে যায়, ফলে মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে টানা তিন মাস পতন দেখলো ভারত, মে ছিল শেষ ইতিবাচক মাস।
জুলাই মাসে রপ্তানি ৩.৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ৮ বিলিয়ন ডলার, জুনে ছিল ৮.৩ বিলিয়ন।
জুন মাসেও রপ্তানিতে ৫.৭ শতাংশ পতন দেখা গিয়েছিল।
মে ২০২৫ ছিল শেষ মাস, যখন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ৪.৮ শতাংশ বেড়ে ৮.৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
তার আগের মাস, এপ্রিল ২০২৫-এ রপ্তানি ছিল ৮.৪ বিলিয়ন ডলার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই উচ্চ শুল্কনীতি ভারতের বস্ত্র, ওষুধ, গয়না, গাড়ির যন্ত্রাংশ ও কৃষিপণ্য—এসব খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা কমছে, অন্যদিকে ভারতের রপ্তানিকারকরা মূল্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন।
বর্তমানে আমেরিকার বাজারে ভারতের অবস্থান রক্ষা করা এবং বিকল্প বাজার খোঁজা নিয়ে নীতি নির্ধারকদের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে।
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস
এমএসএম