যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের জবাবে ভারতীয় কংগ্রেসের নেতা ও সংসদ সদস্য শশী থারুর ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে পাল্টা ‘৫০ শতাংশ শুল্ক’ বসানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র যদি ভারতকে গুরুত্ব না দেয়, তবে ভারত কেন তাদের গুরুত্ব দেবে?
লোকসভায় কেরালার তিরুবনন্তপুরমের এই সংসদ সদস্য বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আমরা কেন ১৭ শতাংশে থেমে থাকবো? যদি তারা আমাদের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, আমরাও তাদের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ চাপাতে পারি। এটা হওয়া উচিত ‘রেসিপ্রোকাল’ বা পাল্টা পদক্ষেপ।
বাজার হারানোর শঙ্কা
থারুর জানান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে। সেই বাণিজ্যে যদি হঠাৎ করেই ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়, তবে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে উভয় দেশের বাজারে।
আরও পড়ুন>>
- ভারতের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০ করলেন ট্রাম্প
- ট্রাম্পের অপমানে হতবাক ভারত, ‘প্রকৃত বন্ধুত্বে’ ফাটল
- ভারতের ওপর হঠাৎ এত ক্ষেপলেন কেন ট্রাম্প?
- ভারতের ওপর ট্রাম্পের ৫০% শুল্কারোপে বাংলাদেশের সামনে বড় সুযোগ
জিনিসপত্রের দাম ৫০ শতাংশ বেড়ে গেলে মানুষ সেটা কেনার আগে ভাববে। তখন ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান কিংবা চীনের মতো প্রতিযোগীরা কম দামে পণ্য দিয়ে মার্কিন বাজার দখল করতে পারবে, বলেন ভারতীয় রাজনীতিবিদ।
গোপন বার্তা?
শশী থারুর আরও প্রশ্ন তোলেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনার যুক্তি দেখিয়ে ভারতকে নিশানা করা হলেও চীন একই কাজ করেও বিশেষ ছাড় পেয়েছে।
তিনি বলেন, চীন আমাদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ রুশ তেল কিনছে। অথচ তাদের ৯০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে, আর আমাদের মাত্র তিন সপ্তাহে (২১ দিনে) প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, ওয়াশিংটনের কাছ থেকে কোনো গোপন বার্তা আসছে।
ভারতের কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের বাড়তি শুল্ককে ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অনুচিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা আগেই স্পষ্ট করেছি—ভারতের তেল আমদানি বাজারভিত্তিক এবং ১৪০ কোটির বেশি মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। একই কাজ যখন অন্য দেশগুলো করছে, তখন শুধু ভারতকে লক্ষ্য করাটা দুর্ভাগ্যজনক।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
কেএএ/