যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের ডেকেছে বিএনপি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসন বণ্টন বা আসন সমঝোতা ইস্যুতে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের ডেকেছে প্রধান শরিক বিএনপি।  বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)  রাত ৭টায় রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল ও জোট গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণঅধিকার পরিষদ এবং গণফোরামের  সঙ্গে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দল ও জোটসমূহের শীর্ষ নেতারা এই বৈঠকে অংশ নেবেন। জোট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  আসন বণ্টন বা আসন সমঝোতা ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে মিত্রদের এক ধরনের দূরত্ব বা টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এ পর্যন্ত দুই দফায় ২৭২ আসনে দলীয় প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে অন্তত ছয়টি আসনে জোট ও দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে তাদের কাউকে আসন ছাড়েনি বিএনপি। জানা গেছে, আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে সংশোধিত আরপিও’র বিষয়টি ভাবাচ্ছে বিএনপিকে। তাছাড়া পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নির্বাচনী মাঠে জামায়াতে ইসলামীকেই বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে।  তাই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের প্রার্থী এবং আরপিও বিবেচনায় নিয়ে কেবল বিজ

যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের ডেকেছে বিএনপি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসন বণ্টন বা আসন সমঝোতা ইস্যুতে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের ডেকেছে প্রধান শরিক বিএনপি।  বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)  রাত ৭টায় রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল ও জোট গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণঅধিকার পরিষদ এবং গণফোরামের  সঙ্গে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দল ও জোটসমূহের শীর্ষ নেতারা এই বৈঠকে অংশ নেবেন। জোট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  আসন বণ্টন বা আসন সমঝোতা ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে মিত্রদের এক ধরনের দূরত্ব বা টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এ পর্যন্ত দুই দফায় ২৭২ আসনে দলীয় প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে অন্তত ছয়টি আসনে জোট ও দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে তাদের কাউকে আসন ছাড়েনি বিএনপি। জানা গেছে, আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে সংশোধিত আরপিও’র বিষয়টি ভাবাচ্ছে বিএনপিকে। তাছাড়া পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নির্বাচনী মাঠে জামায়াতে ইসলামীকেই বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে।  তাই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের প্রার্থী এবং আরপিও বিবেচনায় নিয়ে কেবল বিজয়ী হতে পারার মতো মিত্রদেরই আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। মিত্রদের জন্য ছাড়া আসন কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চায় না দলটি। অবশ্য ‘যৌক্তিকভাবে’ জোটের ঐক্য বজায় রাখতেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি।  তাই মিত্রদের যাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হবে না, তাদেরকে সংসদের উচ্চকক্ষসহ ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়নের চিন্তা রয়েছে দলটির।  এমন অবস্থায় করণীয় নির্ধারণে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে তোপখানা রোডের শিশু কল্যাণ পরিষদে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম এবং একটি ইসলামী দলসহ মোট ২৯টি দল বৈঠক করেছে। বৈঠকে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মিত্রদের নিয়ে কী ভাবছে, সেটা স্পষ্টভাবে বিএনপির কাছে জানতে চাওয়া হবে। তারপর তারা তাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন। এ জন্য তারা দ্রুত বিএনপির সাথে বসতে চান।  জানা যায়, বৈঠকে অধিকাংশ নেতা অভিমত দেন, উচ্চকক্ষ নয়, তারা সরাসরি নির্বাচন করে এমপি হতে চান। তারা বিএনপির কাছে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম ও ত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন চান। এ বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা না হলে প্রয়োজনে তারা নিজেরা জোটবদ্ধ হয়ে ৩০০ আসনে নির্বাচন করতে পারেন। বৈঠকে এমন প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে, তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।  এদিকে আসন বণ্টন বা সমঝোতা ইস্যুতে বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের সৃষ্ট দূরত্ব বা টানাপোড়েনের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট  নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। জানা গেছে, সমঝোতা হলে তাদের অনেককে দলীয় প্রার্থী করতে পারে জামায়াত।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow