রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের এক হাজারতম দিন উপলক্ষে নিজেদের প্রতিরোধ ও অটল অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউক্রেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেন কখনো দখলদারদের কাছে মাথা নত করবে না। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য রুশ সেনাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
এই বিশেষ দিন উপলক্ষে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি ভার্চুয়াল ভাষণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এর আগে, দেশটির সুমি অঞ্চলে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় নতুন করে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন>>
গত সোমবার রাতে সুমি অঞ্চলের হ্লুখিভ শহরে রুশ ড্রোন হামলায় অন্তত আটজন নিহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, একটি আবাসিক ভবনে এই হামলায় আরও ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি স্থানীয় একটি স্কুলের ছাত্রাবাস ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া আমাদের সীমান্ত অঞ্চলে সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলা আবারও প্রমাণ করে যে পুতিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান এবং শান্তি আলোচনায় তার কোনো আগ্রহ নেই।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে প্রাণঘাতী লড়াই চলছে। ইউক্রেনের সামরিক প্রধান এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা অস্তিত্বের জন্য লড়াই করছি। প্রতিটি অন্ধকার রাতের শেষেই নতুন ভোর আসে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন, যা রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর পরপরই ক্রেমলিন নতুন পারমাণবিক নীতিমালা অনুমোদন করেছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো অ-পরমাণবিক রাষ্ট্র যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় এবং তাতে কোনো পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সমর্থন পায়, তবে সেটি যৌথ আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এমন পরিস্থিতিতে ওই দেশটিতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/