হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় তাদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার মিরপুর বাজার শায়েস্তাগঞ্জ রোডে হেলাল মিয়ার মালিকানাধীন সারবানু ট্রেডার্স নামক দোকানে ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্ত ওই আ.লীগ নেতার নাম দুলাল মিয়া। মিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বাহুবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে আহত যুবদল নেতার নাম মো. আব্দুল আউয়াল। তিনি উপজেলা দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক। আরেক আহত ছাত্রদল নেতার নাম মো. হেলাল মিয়া। তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ছাড়া অপর দুজনের মধ্যে একজনের নাম রুবেল ও অপরজনের নাম জানা যায়নি। তারা উভয়েই আউয়ালের আত্মীয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা যায়, দুলাল মিয়া মোটরসাইকেল দিয়ে মো. আব্দুল আউয়ালকে ধাক্কা মারে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুলাল মিয়াসহ তার লোকজন আব্দুল আউয়ালের ওপর হামলা চালায়। এসময় আব্দুল আউয়াল তার ভাগিনা হেলাল মিয়ার মালিকানাধীন সারবানু ট্রেডার্সে আশ্রয় নেন। এ অবস্থায় দুলালের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল মিয়ার দোকানে তাদেরকে হামলা, মারধর ও ভাঙচুর চালিয়ে নগদ টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
আহত ছাত্রদল নেতা হেলাল মিয়া জানান, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও বহু অপকর্মের হোতা দুলাল মিয়া (ওরফে রাটার দুলাল) দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার কাটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। দুলাল ও তার লোকজন আমার মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সারবানু ট্রেডার্সে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে নগদ টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা দুলাল মিয়া জানান, কোনো হামলা বা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তবে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কেউ আহত হয়নি।
বাহুবল থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, দুই পক্ষের মধ্যে কিছু সংঘর্ষ হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।