যে আইনের বাস্তবায়ন চান আজহারি

6 hours ago 5

ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন, যারা আল্লাহর রাসুল (স.)-এর শান এবং মানকে খাটো করে, আল্লাহ এবং রাসুলকে নিয়ে কটূক্তি, অবমাননাকর ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে তাদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করি। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য বাংলাদেশে ব্লাসফেমি আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের লালাপাড়া এলাকায় অনুষ্ঠিত বিশাল এ মাহফিলের আয়োজন করে জাবলুন নূর ফাউন্ডেশন।

ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেন, নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিচ্ছিন্ন থাকলে চলবে না, একা থাকলে ব্যক্তি; ঐক্যবদ্ধ থাকলে শক্তি। এ ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে ইসলামের জন্য কাজে লাগাতে হবে। আমরা ঐক্যকে ভালোভাবে দেশ গড়ার কাজে লাগাতে চাই। এটা অনেকের ভালো লাগে না, নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এমন এক দেশের আমরা প্রতিবেশী যে আমাদের বুঝেশুনে স্টেপ ফেলতে হয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ কিছু করতে পারবে না। আমরা এমন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই যেখানে কেউ কারও ওপর জুলুম করার সাহস দেখাবে না। আমরা স্বাধীনতার পর থেকেই দেখে আসছি লুটপাট মারামারি টাকা পাচার।

জনপ্রিয় এ ইসলামি বক্তা বলেন, নতুন বাংলাদেশে এগুলোর পুনরাবৃত্তি হোক এটা চাই না। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়েগুলোতে গবেষণা হোক। যে হাতে কলম লেগেছে ওই হাতে যেন অস্ত্রের স্পর্শ না লাগে । আমরা এমন নেতা চাই যে নেতা অসুস্থ হলে আমরা সারা দেশের মানুষ জায়নামাজ বিছিয়ে দোয়া করব।

আজহারী বলেন, শান্তশিষ্ট, শান্তিপ্রিয়, ইসলামপ্রিয় মানুষকে উত্তেজিত করার জন্য নবীকে গালি দেওয়া হচ্ছে। এমন অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আমাদের মুখে আনা সম্ভব না। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিনীত আবেদন করতে চাই। আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা আপনারা নেবেন না। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে জনতা নিজেরাই আইন প্রয়োগ করে বিচার করার দায়িত্ব হাতে তুলে নেবে, এটা আমরা চাই না।

মিজানুর রহমান মাহফিলে প্রায় সোয়া একঘণ্টা বক্তব্য দেন। পরে তিনি ইসলামের আলোকে, আসন্ন রোজা সম্পর্কে রমজানের করণীয় ও ফজিলতের বয়ান পেশ করেন।

জাবলুন নূর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের আমির আবু জর গিফারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। মাহফিলে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার লক্ষাধিক মানুষ যোগ দেন। মাহফিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য ও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করে।

Read Entire Article