সিলেট পর্ব শেষে বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব। মাঠের লড়াই শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগেই গরম বন্দর নগরী। বুধবার সকালের খবর, পেমেন্ট না পেয়ে প্র্যাকটিস বয়কট করেছেন দূর্বার রাজশাহীর স্থানীয় ক্রিকেটাররা।
ক্রিকেটারদের দাবি, আজ ১৫ জানুয়ারি ছিল তাদের পারিশ্রমিকের ২৫ পারসেন্ট পেমেন্ট দেয়ার দিন; কিন্তু সকালে ২ ক্রিকেটার ব্যাংকে চেক দিয়ে দেখেন অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। চেক বাউন্স হওয়ায় দুঃখে, ক্ষোভে অনুশীলন না করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজশাহীর বাংলাদেশী ক্রিকেটাররা।
ঘটনা কি সত্য? ২৫ ভাগ পেমেন্ট দেওয়ার কথা থাকলেও কেন, কি কারণে তা দেয়া হলো না? চেকই বা বাউন্স হলো কেন? এসব নানা কৌতুহলি প্রশ্ন উঁকিঝুকি দিয়েছে মিডিয়ায়। বুধবার সারাদিন দূর্বার রাজশাহীর ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে তেমন কোন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি এ বিষয়ে।
তবে সন্ধ্যার পরে দূর্বার রাজশাহী মিডিয়া ম্যানেজার ইশতিয়াক পারভেজ নিলয় চেক বাউন্স হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। নিলয় জাগো নিউজকে যা জানালেন, তার সারমর্ম হলো, রাজশাহীর মালিক পক্ষের আজ ১৫ জানুয়ারি পেমেন্ট দেওয়ার কথা না। পেমেন্ট হওয়ার কথা আগামীকাল ১৬ জানুয়ারি।
নিলয় জানান, তাদের (দূর্বার রাজশাহীর) মালিক সস্ত্রীক চিকিংসার জন্য থাইল্যান্ড অবস্থান করছেন এবং তিনি সেখান থেকে বলেও দিয়েছেন যে, কেউ যাতে ১৫ জানুয়ারি টাকা তোলার চেষ্টা না করে। ব্যাংকে ১৬ জানুয়ারি টাকা জমা হবে; কিন্ত দু’জন ক্রিকেটার আজ ১৫ জানুয়ারি টাকা তোলার চেষ্টা করে ব্যাংকে চেক দিলে তা বাউন্স হয়।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ক্রিকেটারদের পেমেন্ট হয়ে যাবে, এমনটা জোর দিয়ে বলে রাজশাহী মিডিয়া ম্যানেজার আরও জানান, ‘বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচের ২৫ ভাগ বেতন এক সপ্তাহ আগেই হয়ে গেছে।’
প্রসঙ্গতঃ ঢাকার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নিজ দলের খেলা দেখতে বসে বলের আঘাতে আহত হয়েছিলেন রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের সহধর্মিনী। সেই আহত স্ত্রীর চিকিৎসা করাতেই ব্যাংকক গেছেন রাজশাহীর স্বত্ত্বাধিকারী।
এদিকে রাজশাহী ক্রিকেটারদের পেমেন্ট না পাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদও। পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বুধবার রাতে ক্রিকেটারদের ২৫ ভাগ পেমেন্ট দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দেয়ায় বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ আজ বুধবার রাতেই চট্টগ্রামে দলটির ম্যানেজমেন্টের সাথে বসেছেন জানা গেছে। সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই দূর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ পেয়ে যাবেন।
এআরবি/আইএইচএস/