যে কারণে সেই কলেজ থেকে এত শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পান

4 hours ago 5

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এবারও মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৫৩ জন শিক্ষার্থী। গত কয়েক বছর ধরে কলেজটির সাফল্যে প্রচণ্ড উচ্ছ্বসিত কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয়রা।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ৫৩ জন। এর মধ্যে ২০ জন ছাত্র ও ৩৩ জন ছাত্রী। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ।

কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর আমাদের কলেজ থেকে ৫৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অনেকের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ হয়নি।

অধ্যক্ষ বলেন, সাধারণত কলেজগুলোতে দুই বছরে (একাদশ ও দ্বাদশ) দুটো পরীক্ষা হয়। কিন্তু আমরা এর বাইরেও প্রতি দুই-তিন মাস পরপর সিটি (ক্লাস টেস্ট) পরীক্ষা নিয়ে থাকি। এছাড়া শিক্ষার্থীরা ক্লাসে নিয়মিত থাকে। শিক্ষকরাও যথেষ্ট আন্তরিক। সবমিলিয়ে আমরা চেষ্টা করি ভালো কিছু করার।

তিনি আরও বলেন, গত বছরও ৫৯ জনের মতো শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শুধু বিজ্ঞান বিভাগে ২৬২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৫৫ জন। এরমধ্যে এবার ৫৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৪ সালে ৫৯ জন, ২০২৩ সালে ৪২ জন, ২০২২ সালে ৩৯ জন, ২০২১ সালে ৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩৬ জন ও ২০১৮ সালে ৩৮ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।

এছাড়াও কলেজটি থেকে প্রতি বছর উত্তীর্ণ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েটসহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রাখেন।

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের পূর্বের নাম ছিল সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় (টেকনিক্যাল কলেজ)। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নাম রাখে। কলেজটিতে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সুবাদে এখানেও গড়ে ওঠে টেকনিক্যাল স্কুল। উদ্দেশ্য ছিল এখান থেকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার জন্য দক্ষ, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষার্থী গড়ে তোলা। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত হয়। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের নাম রয়েছে।


জিতু কবীর/এফএ/জিকেএস

Read Entire Article