যে কারণে সেরা স্কোরারের ট্রফি পাওয়া হলো না এমবাপ্পের

1 hour ago 2
জার্ড মুলার ট্রফি (পুরুষ) এবারের মতো উঠেছে সুইডিশ স্ট্রাইকার ভিক্টর গিয়োকেরেসের হাতে। পর্তুগিজ লিগে স্পোর্টিং সিপির হয়ে তিনি করেছেন ৩৯টি গোল, যা তাকে এনে দিয়েছে সম্মানজনক এই ট্রফি। ইউরোপের গোল্ডেন বুটজয়ী এমবাপ্পে থাকতে গিয়োকেরেস কীভাবে জিতলেন এই পুরস্কার—সেই প্রশ্ন অনেক ফুটবল সমর্থকের মনে।  গোল্ডেন বুট পুরস্কার নির্ধারিত হয় একটি নির্দিষ্ট নিয়মে, যেখানে ইউরোপের পাঁচটি শীর্ষ লিগের (ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, সিরি আ, বুন্দেসলিগা ও লিগ ওয়ান) গোলগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ওই লিগগুলোয় করা গোলের জন্য থাকে ‍উচ্চ কোইফিশেন্ট, বাংলায় যাকে গুণনীয়ক বলা যায়।  নিয়ম অনুযায়ী, এমবাপ্পের লিগ ওয়ানে করা গোলের মূল্য গিয়োকেরেসের পর্তুগিজ লিগে করা গোলের চেয়ে বেশি বিবেচিত হয়েছে। আর তাই এমবাপ্পে জিতেছেন গোল্ডেন বুট, যদিও গিয়োকেরেস করেছেন মোট গোল সংখ্যায় বেশি। অন্যদিকে, ব্যালন ডি'অর এবং জার্ড মুলার ট্রফির মতো পুরস্কারগুলোতে সরাসরি পারফরম্যান্স ও মৌসুমজুড়ে ওই নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের প্রভাব বিবেচনায় নেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে গিয়োকেরেস পেয়েছেন ইউরোপসেরা গোলদাতার স্বীকৃতি। ইউরোপের পাঁচটি শীর্ষ লিগ—স্পেন, ইংল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স ও জার্মানিতে করা প্রতিটি গোলের মান ধরা হয় দুগুণ (২ পয়েন্ট)। অন্যদিকে, পর্তুগালসহ অন্যান্য লিগে গোলের মান হয় ১.৫ পয়েন্ট, কারণ এসব লিগে গোল করাকে তুলনামূলকভাবে সহজ ধরা হয়। এই নিয়ম অনুযায়ী, পর্তুগিজ লিগে ভিক্টর গিয়োকেরেসের ৩৯ গোলের চেয়ে স্প্যানিশ লিগে কিলিয়ান এমবাপ্পের করা ৩১ গোল বেশি মূল্যবান, কারণ বিশ্বের সেরা পাঁচ লিগের একটিতে তিনি গোলগুলো করেছেন।  তবে, ব্যালন ডি'অর এবং জার্ড মুলার ট্রফি মূলত মৌসুমজুড়ে সর্বোচ্চ গোলদাতাকেই দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে লিগের মান বা কোইফিশেন্ট সেখানে বিবেচ্য নয়। সেই হিসাবেই গিয়োকেরেস হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং পেয়েছেন জার্ড মুলার ট্রফি।
Read Entire Article