বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের অমর নায়ক সালমান শাহ। যে নামের সঙ্গে জড়ানো আছে এক এক সময়ের রূপকথার মতো ক্যারিয়ার, তুমুল জনপ্রিয়তা আর এক আকস্মিক বিদায়ের বেদনা। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, মাত্র ২৭ বছর বয়সে আমাদের ছেড়ে গেছেন এই তারকা।
সালমান শাহর মৃত্যু আজও রয়ে গেছে নানা প্রশ্ন আর বিস্ময়ের ছায়ায়। কিন্তু তার জীবনের সেই স্বপ্নের গানে, হাসিতে আর প্রেমে ভরা অধ্যায়গুলো এখনো বাঙালির মনে অম্লান।
সালমান শাহ জন্মেছিলেন ১৯৭১ সালে। ঢাকাই সিনেমায় পা রেখে প্রথম সিনেমা দিয়েই বাংলাদেশের হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি। তার অভিনয়ের সহজাত আবেগ, অনন্য সৌন্দর্য আর নজরকাড়া স্টাইল তাকে দিয়েছিল এক ঝড়ের মতো জনপ্রিয়তা। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘বিক্ষোভ’, ‘সুজন সখি’, ‘তুমি আমার’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘প্রেম পিয়াসী’ ছবিগুলো দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক যুগের প্রতীক হয়ে আছেন তিনি।
প্রতিদিন অনেক ভক্ত অনুরাগী সালমান শাহের কবর জিয়ারত করতে আসেন
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, সালমান শাহর আকস্মিক মৃত্যু শোক আর বিস্ময়ের এক গভীর ছাপ ফেলেছিল চলচ্চিত্র ও সাধারণ মানুষের মনে। তার মৃত্যু কোণঠাসা করেছিল পুরো দেশের চলচ্চিত্র পরিবারকে।
সালমান শাহর সমাধি সিলেট শহরের শাহজালাল (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে। ভক্তরা প্রায়ই তার কবর জিয়ারত করতে যান। বিশেষ করে তার জন্ম ও মৃত্যুদিনে ভক্তদের আনাগোনা থাকে বেশি। যেখানে ঘুমিয়ে আছেন সালমান শাহ, সেই জায়গাটি শুধু একটি সমাধি নয় বরং এক প্রজন্মের ভালোবাসার ও স্মৃতির প্রতীক হয়ে আছে।
শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার চত্বর সারাদিন খোলা থাকে। তবে সেখানে যেতে চাইলে সকাল বা বিকেলের সময়টা ভালো। তখন ভিড় কম থাকে। কবরস্থানে গেলে নিরবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। ভক্ত হিসেবে ফুল দিতে পারেন, দোয়া পড়তে পারেন। তবে মনে রাখবেন, জায়গাটি পবিত্র। তাই পোশাক ও আচরণে সংযত থাকা উচিত।
এমএমএফ/এলআইএ/জেআইএম