বক্স অফিসটা বেশ জমিয়ে তুলেছে ‘উইকেড’ ও ‘গ্লাডিয়েটর ২’। গেল বছর মুক্তি পাওয়া ‘বার্বি’ ও ‘ওপেনহেইমার’ ছবির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে সিনেমা দুটি। বিগ বাজেট ও বহুল আলোচিত দুটি সিনেমা একই দিনে মুক্তি পেয়েছিল। দুই ছবির মিশেলে একটি নামও তৈরি হয়েছিল ‘বার্বিহেইমার’। নারীর প্রতিনিধিত্ব করা ‘বার্বি’ ব্যবসায় এগিয়ে গিয়েছিল।
একইভাবে ‘উইকেড’ ও ‘গ্লাডিয়েটর ২’ এরও একটি মজার যৌথ নাম তৈরি করেছে ভক্তরা। তারা দুটি ছবিকে একসঙ্গে ডাকছে ‘গ্লিকড’ ও ‘উইকিয়েটর’ নামে। এবারেও বক্স অফিসে দেখা গেল নারী শিল্পীদের কেন্দ্র করে তৈরি সিনেমার জয়জয়কার।
গত সপ্তাহ শেষে ‘উইকেড’ উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসে ১১৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এটি সহজেই পরাজিত করেছে গ্লাডিয়েটরের ফিরে আসার গল্পকে। এই ছবিটি মাত্র ৫৫.৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
যদিও ‘উইকেড’ ভাল করেছে, তবে এটি ‘বার্বি’র মতোই শংকায় ছিল সাফল্য নিয়ে। যখন ইউনিভার্সাল ‘উইকেড’ মুক্তির পরিকল্পনা করেছিল তখন ‘গ্লাডিয়েটর ২’ এর সাথে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল না। স্টুডিও মুক্তির তারিখ পরিবর্তন করে যেন ‘মোয়ানা ২’ ছবির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে হয়। কারণ তাদের ধারণা ছিল ‘মোয়ানা ২’ এর জনপ্রিয়তার সাথে পেরে উঠবে ‘উইকেড’। সেই সিদ্ধান্তই যেন ছবিটির জন্য আশির্বাদ হয়ে এলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিনেমাটির বাজারজাতকরণের কৌশলের কারণে এই সাফল্য এসেছে। ইউনিভার্সাল এই চলচ্চিত্রে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছে। ৪০০টিরও বেশি কোম্পানির সাথে অংশীদারিত্ব করেছে প্রচারের জন্য। বড় টিভি শোগুলোতে চলচ্চিত্রটির প্রচার চালানো হয়েছে। যেমন প্যারিস অলিম্পিক, যেখানে তারকারা অ্যারিয়ানা গ্র্যান্ডে এবং সিনথিয়া এরিভো ‘উইকেড’- এর রং পরে উপস্থিত ছিলেন। সেটি দর্শকের নজর কেড়েছে।
এদিকে ‘গ্লাডিয়েটর ২’ প্রচারে এতোটা মজবুত হতে পারেনি। তারউপর গল্প দিয়েও ‘উইকেড’ বাজিমাত করেছে। সেদিক থেকে ‘গ্লাডিয়েটর ২’ আগের পর্বটির যোগ্য সিক্যুয়েল হয়ে উঠতে পারেনি বলে মনে করছেন অনেকে।
এলএ/এএসএম