বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করেছে ডেঙ্গু। এটি একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ। তবে, সিঙ্গাপুর এই রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে এবং মশা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। দেশটির সফলতার পেছনে রয়েছে কয়েকটি কার্যকরী পদক্ষেপ, যা অন্যান্য দেশগুলোর জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে।
১. মশা পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা
সিঙ্গাপুরে মশার উপদ্রব ও তাদের প্রজননস্থলের ওপর কঠোর নজরদারি রাখা হয়। দেশটির জাতীয় পরিবেশ সংস্থা (এনইএ) সারা বছর মশার অবস্থান শনাক্ত করে এবং তাদের উৎপাদনস্থল চিহ্নিত করে। এর ফলে মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
২. জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি
সিঙ্গাপুর সরকার জনসাধারণের মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্ন প্রচারণা চালায়। এতে মানুষকে মশার প্রজননস্থল যেমন- পানি জমে থাকা জায়গাগুলো পরিষ্কার রাখতে উৎসাহিত করা হয়, যা মশার বিস্তার রোধ করে।
৩. ওলবাচিয়া প্রযুক্তির ব্যবহার
সিঙ্গাপুরে ওলবাচিয়া নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়, যা মশার প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এই প্রযুক্তি মশার শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করিয়ে তাদের প্রজনন ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত করে, ফলে মশার সংখ্যা কমে যায়।
৪. সামাজিক অংশগ্রহণ
সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সামাজিক অংশগ্রহণও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মশার বিরুদ্ধে সচেতন করা এবং তাদের সম্পৃক্ত করা, বিশেষ করে, মশার প্রজননস্থল পরিষ্কার রাখতে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়েছে।
৫. প্রযুক্তিগত গবেষণা ও উন্নয়ন
সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত গবেষণা ও উন্নয়নেও প্রচুর বিনিয়োগ করা হয়েছে। দেশটির গবেষকরা মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন এবং নতুন নতুন উপায় আবিষ্কার করছেন, যা মশার বিস্তার রোধে কার্যকর।
এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে সিঙ্গাপুর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সাফল্য অর্জন করেছে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করছে।
তথ্যসূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, প্যান আমেরিকান স্বাস্থ্য সংস্থা
(প্রতিবেদনটি এআই’র সাহায্যে তৈরি)
কেএএ/জিকেএস