রংপুরে কমেছে ডিমের দাম

2 hours ago 3

রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম। সেইসঙ্গে দাম কমেছে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের। তবে দাম বেড়েছে বেগুনসহ কিছু সবজির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, মাংস, চাল, ডাল ও কিছু সবজির দাম।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৬ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৬-৪৮ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকা থেকে কমে ৬০-৬৫ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১৬০-১৮০ টাকা থেকে কমে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

টার্মিনাল বাজারে ডিম বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। ছোট সাইজের লোকাল ডিমের হালি ৪২-৪৪ টাকা আর বহুজাতিক কোম্পানির উৎপাদিত ডিম ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রংপুরে কমেছে ডিমের দাম

সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে টমেটো ১০০-১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০-১৪০ টাকা, গাজর ১২০-১৪০ টাকা, কাঁকরোল ৫০-৬০ টাকা, ঝিংগা আগের মতো ৬০-৭০ টাকা, মুলা আগের মতো ৬০-৭০ টাকা, চালকুমড়া (আকার ভেদে) গত সপ্তাহের মতো ৪০-৪৫ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, দুদকুষি ৪০-৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, চিকন বেগুন ৩০-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৫৫-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০-৯০ টাকা ঢ্যাঁড়স ৫০-৬০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, বরবটি আগের মতো ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে অপরিবর্তিত ২০-২৫ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, লাউ (আকার ভেদে) ৩০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, কচুর বই আগের মতো ২৫-৩০ টাকা, লেবুর হালি ১০ টাকা, ধনেপাতা ১২০-১৫০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে দেশি আদা গত সপ্তাহের মতোই ১৮০-২০০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৮০-২০০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৫-২০ টাকা, শিল আলু ৪০-৪৫ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ধাপ লালকুঠি বাজারের সবজি বিক্রেতা কবীর হোসেন বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে। এ কারণে কিছু সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে।

রংপুরে কমেছে ডিমের দাম

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড জাতের মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) ১৩০-১৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনি ১১০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটার দাম বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকার ভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/এমএন/জেআইএম

Read Entire Article