রংপুরে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধে স্মারকলিপি
রংপুরে জনস্বার্থকে উপেক্ষা করে হয়রানিমূলক প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবি জানিয়েছে মহানগর নাগরিক কমিটি। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির উদ্যোগে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার কোম্পানি (নেসকো) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাসাবাড়ি, দোকানপাট, অফিস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রিপেইড মিটার সংযোগ কার্যক্রম শুরু করেছে। বিশেষ করে বাসাবাড়িতে গ্রাহকদের আপত্তি সত্ত্বেও নানা কৌশলে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ অব্যাহত রেখেছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রিপেইড মিটার স্থাপনে জবরদস্তির অভিযোগও রয়েছে। এর আগে গ্রাহকদের আন্দোলনের মুখে তৎকালীন জেলা প্রশাসক নেসকো কর্তৃপক্ষকে বাধ্যতামূলকভাবে বাসাবাড়িতে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাসাবাড়িতে কোনো গ্রাহক যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রিপেইড মিটার সংযোগ নিতে চান, তবেই সেখানে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা যাবে। এক্ষেত্রে কোনো গ্রাহককে বাধ্য করা যাবে না। কিন্তু বর্তমানে নেসকো কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশনা অমান্য করে গ্রাহকদের আপত্তি সত্ত্বেও প
রংপুরে জনস্বার্থকে উপেক্ষা করে হয়রানিমূলক প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবি জানিয়েছে মহানগর নাগরিক কমিটি।
রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির উদ্যোগে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার কোম্পানি (নেসকো) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাসাবাড়ি, দোকানপাট, অফিস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রিপেইড মিটার সংযোগ কার্যক্রম শুরু করেছে। বিশেষ করে বাসাবাড়িতে গ্রাহকদের আপত্তি সত্ত্বেও নানা কৌশলে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ অব্যাহত রেখেছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রিপেইড মিটার স্থাপনে জবরদস্তির অভিযোগও রয়েছে। এর আগে গ্রাহকদের আন্দোলনের মুখে তৎকালীন জেলা প্রশাসক নেসকো কর্তৃপক্ষকে বাধ্যতামূলকভাবে বাসাবাড়িতে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাসাবাড়িতে কোনো গ্রাহক যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রিপেইড মিটার সংযোগ নিতে চান, তবেই সেখানে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা যাবে। এক্ষেত্রে কোনো গ্রাহককে বাধ্য করা যাবে না। কিন্তু বর্তমানে নেসকো কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশনা অমান্য করে গ্রাহকদের আপত্তি সত্ত্বেও প্রিপেইড মিটার স্থাপনে নানামুখী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, প্রিপেইড মিটার পদ্ধতিতে গ্রাহকদের আগাম টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ কিনতে হবে। যতক্ষণ প্রিপ্রেইড কার্ডে টাকা থাকবে ততক্ষণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। যা সেবামূলক খাতের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিদ্যুৎ আইন ২০০৩ এর ৫৬ নম্বর ধারামতে, গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে কোম্পানিকে ১৫ দিন আগে নোটিশ দিতে হয়। কিন্তু এই প্রিপেইড মিটার কার্ডের রিচার্জকৃত টাকা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, যা বিদ্যুৎ আইনের পরিপন্থি।
স্মারকলিপি পেশ করেন রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন, নীরেন্দ্রনাথ রায়, আব্দুল জব্বার, এবিএম মসিউর রহমান, অ্যাডভোকেট খায়রুল ইসলাম বাপ্পী, আলোকচিত্রী ফিরোজ চৌধুরী, আব্দুল হামিদ বাবু, মাহফুজার রহমান, অ্যাডভোকেট শারমিন আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জিতু কবীর/এসআর/জেআইএম
What's Your Reaction?