রংপুরে সবজিতে স্বস্তি নেই

3 hours ago 3

রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা দাম কমেছে কাঁচামরিচ, বেগুন ও পটলের। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অধিকাংশ সবজি, পেঁয়াজ ও পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪৬-৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা। তবে কাঁচামরিচের দাম ২৪০ টাকা থেকে কমে ১৮০-২০০ দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটো গত সপ্তাহের মতোই ১৮০-২০০ টাকা, গাজর ১৫০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫৫-৬০ টাকা, ৬০-৭০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, দুদকুষি ৫০-৬০ টাকা, সজনে ১৮০-২০০ টাকা, চিকন বেগুন ৫৫-৬০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ১০০-১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা থেকে কমে ৪৫-৫০ টাকা, বরবটির দাম কমে ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে আগের মতোই ২০-৩০ টাকা, শসা আগের মতো ৫০-৬০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯০-১০০ টাকা , লাউ (আকারভেদে) ৪০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৬০-৭০ টাকা, কচুর বই ২৫-৩০ টাকা, লেবুর হালি ১০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০-৩০০ টাকা থেকে কমে ১৮০-২০০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে দেশি আদা গত সপ্তাহের মতোই ২০০-২২০ টাকা , আমদানি করা আদা ১৮০-২০০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রংপুরে সবজিতে স্বস্তি নেই

বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৫-২০ টাকা, শিল আলু ৪৫-৫০ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ধাপ লালকুঠি বাজারের সবজি বিক্রেতা কবীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আপাতত এই এলাকায় তেমন একটা বৃষ্টি হচ্ছে না। এ কারণে কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমেছে। তবে দুই-একটা সবজির দাম কমলেও অধিকাংশ সবজি অপরিবর্তিত রয়েছে।

ওই বাজারে সবজি কিনতে আসা খলিফাপাড়ার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজারে কেবল আলুর দামটাই একটু কম। এছাড়া অধিকাংশ সবজি ৫০ টাকার ঊর্ধ্বে। আদা রসুনও ২০০ টাকার মতো। মাছ, মাংস, ডিমের দামও চড়া। এ অবস্থায় আমরা নিম্ন আয়ের মানুষেরা খাবো কী? বেঁচে থাকার জন্য যেটুকু না হলেই চলবে না সেটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম সামান্য কমে ২৯০-৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আমীর হোসেন বলেন, এখন মাসের শেষ সপ্তাহ। মুরগি বিক্রি অনেক কমে গেছে। পাকিস্তানি মুরগির দাম সামান্য কমেলেও অন্যগুলো অপরিবর্তিত।

রংপুরে সবজিতে স্বস্তি নেই

খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনির দাম কমে ১১০-১১৫ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বর্ণা (মোটা) গত সপ্তাহের মতো ৫২-৫৪ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/এমএন/এএসএম

Read Entire Article