যে কোনো বিপদ আপদে, কঠিন পরিস্থিতিতে মুমিনের কর্তব্য হলো ধৈর্য ধারণ করা ও আল্লাহ তাআলারর সহায্য প্রার্থনা করা। আল্লাহ তাআলাই মুমিনের চূড়ান্ত ভরসাস্থল। দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য প্রার্থনার পাশাপাশি মুমিনের ঈমানও প্রকাশ পায়। আল্লাহর প্রতি তার ভরসা ও নির্ভরতা প্রকাশ পায়। বিনয় ও অহংকারহীনতা প্রকাশ পায়।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে দোয়া করার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, তোমাদের রব বলেন, তোমরা আমার কাছে দোয়া কর, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব। যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত হতে বিমুখ তারা অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হয়ে। (সুরা গাফির: ৬০)
এখানে আমরা নবিজি (সা.) থেকে বর্ণিত তিনটি দোয়া তুলে ধরছি যা আমরা বিপদের সময় বা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে পারি:
১. নবিজি (সা.) দোয়া করতেন,
يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ، بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ، أَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ، وَلَا تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ
উচ্চারণ: ইয়া হাইই ইয়া ক্বাইয়্যুম বি রাহমাতিকা আসতাগীস, আসলিহ লি শানি কুল্লাহ, ওয়ালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আঈনিন।
অর্থ: হে চিরঞ্জীব, হে চিরপ্রতিষ্ঠিত সত্তা! আমি আপনার দয়া চাই। আমার সব সমস্যা ঠিক করে দিন আর আমাকে এক নিমেষের জন্যও আমার নিজের হাতে ছেড়ে দেবেন না। (সুনানে তিরমিজি: ৩৫২৪)
২. নবিজি (সা.) দোয়া করতেন,
اللَّهُمَّ لَا سَهْلَ إِلَّا مَا جَعَلْتَهُ سَهْلًا، وَأَنْتَ تَجْعَلُ الْحَزْنَ إِذَا شِئْتَ سَهْلًا
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা সাহলা ইল্লা মা জা’আলতাহু সাহলা, ওয়া আনতা তাজআলুল হাযনা ইযা শি’তা সাহলা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি যা সহজ করেছেন তা ছাড়া কোনো কিছুই সহজ নয়। যখন আপনি ইচ্ছা করেন তখন কঠিনকেও সহজ করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ২৪২৭)
৩. নবিজি (সা.) দোয়া করতেন,
اللَّهُمَّ اهْدِنِي وَسَدِّدْنِي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা-হদিনি ওয়া সাদ্দিদনি।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে হেয়াদায়াত দিন এবং সঠিক পথে পরিচালিত করুন! (সহিহ মুসলিম: ২৭২৫)
ওএফএফ/এএসএম