দেশের সেরা রপ্তানিকারকদের স্বীকৃতি দেবে দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) বাংলাদেশ। সেজন্য তারা নবমবারের মতো ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’ এর আয়োজন করেছে।
গত সোমবার থেকে এই স্বীকৃতি জন্য দেশের সব রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আবেদন করছেন। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে চার শ্রেণিতে দেওয়া হবে সেরা রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি। এ পুরস্কার বা স্বীকৃতির জন্য আবেদন করতে ব্যাংকটির গ্রাহক হতে হবে না। শর্তপূরণ সাপেক্ষে যে কেউ আবেদন করতে পারবে।
বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর দেশের সেরা রপ্তানিকারকদের স্বীকৃতি দিতে এই আয়োজন করে আসছে এইচএসবিসি। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সেরা রপ্তানিকারক নির্বাচনের কোনো পর্যায়ে এইচএসবিসির সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
থাকবে চার ক্যাটাগরি:
স্বীকৃতি বা সম্মাননা দেওয়া হবে চারটি শ্রেণিতে। তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্রশিল্প, যাদের বার্ষিক রপ্তানি আয় ১০ কোটি ডলার বা তার বেশি সেসব প্রতিষ্ঠান এই শ্রেণিতে আবেদন করতে পারবে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে রয়েছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্রশিল্প খাতের সংযোগ শিল্প। এ খাতের যেসব প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয় ৫ কোটি ডলার বা তার বেশি তারা আবেদন করতে পারবে।
তৃতীয় শ্রেণিতে রপ্তানি খাতের উৎপাদনশীল শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উদীয়মান ও অসনাতন প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিকস, হালকা প্রকৌশল, প্লাস্টিক, আসবাব, জুতা, চামড়াজাত পণ্য, অ্যাগ্রো প্রসেসিং ও অটোমোটিভ কম্পোনেন্ট খাতের প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যাদের বার্ষিক রপ্তানি আয় ১ কোটি ডলার বা তার বেশি তারাই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবে। সর্বশেষ শ্রেণিতে পুরস্কার দেওয়া হবে সেবা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রপ্তানির উদীয়মান প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এ শ্রেণিতে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক রপ্তানি আয় হতে হবে ন্যূনতম ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
এদিকে এ আয়োজন নিয়ে গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, ‘আমরা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা সেরা রপ্তানিকারকদের স্বীকৃতি দিতে চাই। তাদের সাফল্যের অভিজ্ঞতা ও কার্যপদ্ধতি সামনে তুলে আনতে চাই, যেন অন্যরাও তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হন। একই সঙ্গে রপ্তানিতে অবদান রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎমুখী দিকগুলোর ওপরও আলোকপাত করতে চাই, যেন নতুন উদ্যোক্তারা সামনে এগোতে হলে কী কী করবে ও কোন ভাবনাগুলো ভাববে তার ধারণা পান।
এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আবেদনপত্র ও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে www.hsbc.com.bd/EEA2025 ওয়েবসাইটে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
অ্যাওয়ার্ডস্ এর পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন। এছাড়া টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে আছে কেপিএমজি অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস লিমিটেড।
এইচএসবিসি আরও জানিয়েছে, বিজয়ীদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেশের রপ্তানি ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে অবদান, সামাজিক দায়িত্ববোধ, টেকসই পরিচালন প্রক্রিয়া, ডাইভার্সিটি, রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স পর্যালোচনা করা হবে। এতে বিচারকমণ্ডলী বা জুরি প্যানেলে এইচএসবিসির সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাই কমিশনের নির্বাচিত সদস্যরা থাকবেন। তবে এতে অংশগ্রহণের জন্যে কোনো এন্ট্রি ফি লাগবে না।
এনএইচ/এমআরএম/জেআইএম