আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমজানপূর্ব মাস শাবানে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি নফল রোজা রাখতেন। হাদিসে শাবান মাসে রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এ কারণে অনেকেই শাবান মাসে নফল রোজা বেশি রাখেন। প্রশ্ন হলো, শাবানের শেষ দিন বা রমজান শুরুর আগের দিন বা তার আগের দিনও কি রোজা রাখা একই রকম ফজিলতপূর্ণ এবং এ দুই দিন কি রোজা রাখা উচিত?
এ প্রশ্নের উত্তর হলো, শাবান মাসের শেষ দুই দিন অর্থাৎ রমজানের আগের দিন এবং তার আগের দিন নফল রোজা না রাখা উচিত। কারণ রাসুল (সা.) রমজান শুরু হওয়ার আগেই রোজা শুরু করতে নিষেধ করেছেন। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
لاَ تَصُومُوا قَبْلَ رَمَضَانَ صُومُوا لِلرُّؤْيَةِ وَأَفْطِرُوا لِلرُّؤْيَةِ فَإِنْ حَالَتْ دُونَهُ غَيَابَةٌ فَأَكْمِلُوا ثَلَاثِينَ
আপনারা রমজান শুরু হওয়ার আগেই রোজা রাখা শুরু করবেন না। চাঁদ দেখে রোজা শুরু করুন এবং পরবর্তী চাঁদ দেখেই রোজা রাখা বন্ধ করুন। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে আরো একদিন অপেক্ষা করে শাবান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করুন। (সুনানে নাসাঈ: ২১৩০)
তবে রমজানপূর্ব এই এক/দুই দিন যদি এমন কোনো দিনে পড়ে যায়, যে দিন কারো আগে থেকেই রোজা রাখার অভ্যাস আছে, তাহলে সে রোজা রাখতে পারে। যেমন কারো যদি প্রতি সপ্তাহের সোমবার রোজা রাখার অভ্যাস থাকে এবং রমজানের আগের দিন সোমবার হয়, তাহলে তার অভ্যাস অনুযায়ী সে রোজা রাখতে পারে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন,
لاَ تَقَدَّمُوا رَمَضَانَ بِصَوْمِ يَوْمٍ وَلاَ يَوْمَيْنِ إِلاَّ رَجُلٌ كَانَ يَصُومُ صَوْمًا فَلْيَصُمْهُ
রমজানের একদিন বা দুদিন আগে রোজা রাখবেন না। হ্যাঁ, যদি কেউ এ দিনগুলোতে রোজা রাখতে অভ্যস্ত থাকে, তাহলে সে রোজা রাখতে পারে। (সহিহ মুসলিম: ১০৮২)
ওএফএফ/এমএস