রাইস মিলের দূষিত পানিতে অবরুদ্ধ ৪৫ পরিবার
পাবনার ঈশ্বরদীতে ‘আল্লাহর দান এগ্রো কমপ্লেক্স’ অটো রাইস মিলের বর্জ্য নিষ্কাশিত পানিতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ৪৫টি পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা নিরুপায় হয়ে ওই মিলের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেছেন। এসময় তারা কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানি জনবসতি এলাকায় প্রবেশ বন্ধে নানা স্লোগান দেন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার অরণকোলা বাগবাড়িয়া চকনারিচা এলাকায় ভুক্তভোগীরা এ বিক্ষোভ করেন। জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত আল্লাহর দান কমপ্লেক্স রাইস মিলে মুড়ি তৈরির চাল ও মোটা চাল প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। তবে ওই রাইস মিলের বর্জ্য মিশ্রিত নোংরা পানি নির্দিষ্ট ক্যানেলের মাধ্যমে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নিষ্কাশিত করা হচ্ছে। এতে বসবাসরত ৪৫টি পরিবারের বসতবাড়ির আঙিনায় পানি ঢুকে পড়ছে। শুধু তাই নয়, আশপাশের আবাদি জমিতে এ বর্জ্য মিশ্রিত পানি ঢুকে কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে। একাধিকবার মিল কর্তৃপক্ষকে বলেও কোনো সমাধান হয়নি বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর। তবে আল্লাহর দান এগ্রো কমপ্লেক্স রাইস মিল কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের বর্জ্য মিশ্রিত এসব পানি নিষ্কাশনের জন্য রয়েছে ন
পাবনার ঈশ্বরদীতে ‘আল্লাহর দান এগ্রো কমপ্লেক্স’ অটো রাইস মিলের বর্জ্য নিষ্কাশিত পানিতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ৪৫টি পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা নিরুপায় হয়ে ওই মিলের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেছেন। এসময় তারা কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানি জনবসতি এলাকায় প্রবেশ বন্ধে নানা স্লোগান দেন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার অরণকোলা বাগবাড়িয়া চকনারিচা এলাকায় ভুক্তভোগীরা এ বিক্ষোভ করেন।
জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত আল্লাহর দান কমপ্লেক্স রাইস মিলে মুড়ি তৈরির চাল ও মোটা চাল প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। তবে ওই রাইস মিলের বর্জ্য মিশ্রিত নোংরা পানি নির্দিষ্ট ক্যানেলের মাধ্যমে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নিষ্কাশিত করা হচ্ছে। এতে বসবাসরত ৪৫টি পরিবারের বসতবাড়ির আঙিনায় পানি ঢুকে পড়ছে। শুধু তাই নয়, আশপাশের আবাদি জমিতে এ বর্জ্য মিশ্রিত পানি ঢুকে কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে। একাধিকবার মিল কর্তৃপক্ষকে বলেও কোনো সমাধান হয়নি বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর।
তবে আল্লাহর দান এগ্রো কমপ্লেক্স রাইস মিল কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের বর্জ্য মিশ্রিত এসব পানি নিষ্কাশনের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট পুকুর। সেটা ভরে যাওয়ায় কিছু পানি জনবসতি এলাকার মধ্যে প্রবেশ করেছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই মিলের পেছনে একটি নির্দিষ্ট ক্যানেলের মাধ্যমে নিষ্কাশিত হচ্ছে বর্জ্য মিশ্রিত এসব পানি। সেই পানি বসতবাড়ির ভেতর ও চলাচলের রাস্তায় প্রবেশ করায় ব্যাপক ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। দুর্গন্ধযুক্ত এসব নোংরা পানিতে চলাচলের কারণে শিশুসহ বড়দের শরীরে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের চর্মরোগ।
ভুক্তভোগী মোছা. মুক্তা খাতুন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই মিলের নোংরা পানি আমাদের বাড়িঘরের দিকে বের করে দিচ্ছে। বাড়ির ভেতর ও রাস্তায় পানি আটকে থাকে সব সময়। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের।
ভুক্তভোগী আবু বক্কর সিদ্দিক ও শাহাবুদ্দিন শরিফ বলেন, একাধিকবার বললেও মিল মালিক এসবের কোনো কর্ণপাতই করেন না। এমন নোংরা পানির দুর্গন্ধে ও এসব পানির মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে শিশুসহ অনেকের শরীরে নানারকম চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আশপাশের আবাদি জমিতেও এ পানি প্রবেশ করায় চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। আজ বাধ্য হয়ে মিল কারখানার সামনে বিক্ষোভ করছি। বর্জ্য মিশ্রিত এসব পানি থেকে পরিত্রাণ চাই আমরা।
তবে এ ব্যাপারে আল্লাহর দান এগ্রো কমপ্লেক্স রাইস মিলের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের কারখানার পানি নিষ্কাশনের আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে তা অতিরিক্ত ভরে যাওয়ার কারণে কিছু পানি বাহিরে চলে গেছে। যার কারণে একটু সমস্যা হয়েছে। তবে বিষয়টি নজরে আসামাত্র আমরা তা মেশিন বসিয়ে বাহিরে বের করার ব্যবস্থা করেছি। এরই মধ্যে অনেক পানি বেরও হয়ে গেছে। কিছু অসাধু চক্র এলাকাবাসীকে উসকে দিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করছে। আশা করছি দ্রুত এর স্থায়ী সমাধান হয়ে যাবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানা নেই। আপনার মাধ্যমেই জানলাম। খোঁজখবর নিয়ে সমস্যাটি অবশ্যই সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
শেখ মহসীন/এফএ/এএসএম
What's Your Reaction?