চট্টগ্রামের রাউজানে একদল মুখোশধারীদের ছোড়া গুলিতে অন্তত ১২ থেকে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিশপাড়া গ্রামের আসদ আলী মাতব্বরপাড়া মসজিদ এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে ১১ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রাউজান থানা-পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- নিরামিশপাড়া গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন (৫০), মো. মহিউদ্দিন (৩৮), জানে আলম (৪৪) ও তার ভাই মো. সাইফুদ্দিন (৩১), মো. লাভলু (২৮), নুরুদ্দিন (২৮) ও তার ভাই মো. মানিক (৩৬), মো. মাসুদ (৩৫), আলাউদ্দিন (৪০), মো. হুমায়ুন (৪৫) ও নুরুল আবসার (৫৫)।
বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের নাম–পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আসদ আলী মাতব্বরপাড়া মসজিদ এলাকায় ২০–২৫ জনের একদল মুখোশধারী মো. মহিউদ্দিনকে মারধর করে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে এলাকার কিছু লোক এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে এলে মুখোশধারীরা তাদের লক্ষ করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় ১২ থেকে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হন।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বিএনপির দুই পক্ষের গোলাগুলিতে কয়েকজন সাধারণ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রাউজানের নোয়াপাড়ায় বিএনপির দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গোলাগুলির ঘটনাও তারই অংশ।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহাবুবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিএনপির একটি পক্ষের ২০ থেকে ২৫ জন বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিপক্ষ নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের ছেলে কামাল উদ্দিনকে আক্রমণ করতে যায়। এলাকাবাসী বাধা দিলে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে ১২ থেকে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হন।