রাকসু নির্বাচনের ফল প্রস্তুতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন

2 hours ago 5
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ। এজন্য হাই প্রোফাইলের ওএমআর মেশিন প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই তা পরীক্ষার জন্য ফলাফল স্থলে ইন্সটল করে দেখা হয়েছে। আর এই ওএমআর মেশিন পরিচালনার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের ৪৩ জন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।  বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার।   তিনি বলেন, আমরা ডাকসু ও জাকসুর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছি। রাকসুতে আমরা সেগুলোর বিষয়ে সতর্ক থেকেছি। নির্বাচনের ফলাফল প্রস্তুত করতে আমরা বিশেষজ্ঞ কমিটি করেছি। তাড়াহুড়া করে ভুল এবং অগ্রহণযোগ্য কোনো ফলাফল আমরা প্রকাশ করব না। আমরা ইতোমধ্যে ৪৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ নিয়ে একটি কমিটি করেছি। ১৭ ঘণ্টার ভেতরে ফলাফল প্রকাশ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব কেন্দ্র থেকে ব্যবহৃত ব্যালটবাক্স সিলগালা করে বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে নিয়ে আসা হবে। সেখানেই ১৭টি হলের ফলাফল ধারাবাহিকভাবে তৈরি করা হবে। ওএমআর মেশিনে এটি রিড করে যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা করা হবে। একজন ভোটারকে ছয়টি ব্যালটে মোট ৪৩টি ভোট প্রয়োগ করতে হবে। এই ছয়টি ব্যালট পৃথক ছয়টি ওএমআর মেশিনে স্ক্যান করা হবে। মেশিনের সক্ষমতা অনুযায়ী আমরা আশা করছি সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টার ভেতর ফল প্রকাশ করতে পারব। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। রাকসু নির্বাচনে ১০টি প্যানেল ও বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। রাকসুর কেন্দ্রীয় ২৩টি পদে ৩০৫ জন, সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে ৫৮ জন, প্রতিটি হল সংসদের ১৫টি করে পদে ১৭টি হলের মোট ২৫৫টি পদের মোট ৫৫৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন ভোটার ৪৩টি পদে ভোট দিতে সময় পাবেন ১০ মিনিট। অর্থাৎ একজন ভোটার একটি ভোট দিতে প্রায় ১৪ সেকেন্ডে সময় পাবেন। রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ প্রার্থী লড়াই করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন (৩৯.১ শতাংশ) ও ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৫ জন (৬০.৯ শতাংশ)।
Read Entire Article