রাকসুর ব্যালটে শিক্ষার্থীরা প্রমাণ দেবে রাবিতে ছাত্রদলই শক্তিশালী

2 hours ago 4

ডাকসু-জাকসুর পর এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে নজর দেশবাসীর। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাকসু নির্বাচনে এবার লড়ছে ৯টি প্যানেল। এর মধ্যে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরই কেবল পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে। মূল লড়াইটাও ছাত্রদল-শিবিরের মধ্যেই হবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন শেখ নূর উদ্দীন আবীর। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং রাবি ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। রাকসু নির্বাচন সামনে রেখে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক আল-আমিন হাসান আদিব

জাগো নিউজ: ডাকসু-জাকসুতে ছাত্রদলের ভরাডুবি হয়েছে। ছাত্রদলের প্যানেল থেকে কেন্দ্রীয় সংসদে কেউ একটি পদেও জয়ের দেখা পাননি। রাকসুতে শিক্ষার্থীদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

শেখ নূর উদ্দীন আবীর: ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পরিবেশ-পরিস্থিতির বিস্তর তফাৎ। সুতরাং, সেখানে কেমন ফল হলো, কী হলো, কী হলো না- সেটার প্রভাব রাকসুতে পড়বে না। এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অভাবনীয় সাড়া পাচ্ছি। তারা রাকসুতে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলকে বেছে নেবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। আমরা শুধু কারচুপি ও বিতর্কমুক্ত রাকসু নির্বাচন চাই।

এখন পর্যন্ত আমরা তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের রাকসুতে ভোটের অধিকার বাস্তবায়নে যারা লড়াই করেছেন, তাদেরই তারা বেছে নেবেন

জাগো নিউজ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রশিবিরের ‘ঘাঁটি’ বলেন অনেকে। আপনাদের কেন্দ্রীয় একজন নেতাও সম্প্রতি এক বক্তব্যে এটি বলেছেন। এমন বাস্তবতায় রাকসুতে কি ছাত্রদল ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?

শেখ নূর উদ্দীন আবীর: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা (শিবির) পেশিশক্তি দেখিয়ে আসছে। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তীসময়ে পেশিশক্তির রাজনীতি যারাই করবে, তারাই কিন্তু শিক্ষার্থীদের তোপের মুখ পড়ছে, পড়বে। কিছুদিন আগে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবিতে আমরা রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। সম্পূর্ণ যৌক্তিক দাবির বিপরীতে সেদিন তারা (শিবির) সেখানে শোডাউন (মহড়া) দিয়েছে। অথচ দেখা গেলো পরে আমাদের যৌক্তিক দাবি প্রশাসন মেনে নিলো।

আরও পড়ুন

আমরা কিন্তু সেদিন সহনশীল ভূমিকা রেখেছি। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রশংসা পেয়েছি। সেজন্য আমি বলবো—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ শক্তিশালী নয়, শিক্ষার্থীরা যাদের পক্ষে থাকবেন, তারাই শক্তিশালী। আমরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে পাশে আছি। শিক্ষার্থীরাই ব্যালটের মাধ্যমে প্রমাণ করবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবির নয়, ছাত্রদলই শক্তিশালী।

জাগো নিউজ: প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের রাকসুতে ভোটার হওয়ার পেছনে ছাত্রদলের অবদান রয়েছে। প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থীকে আপনাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন রাকসুতে ভোটার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আপনাদের কেমন যোগাযোগ গড়ে উঠেছে? তাদের ভোট কতটা পাবেন?

শেখ নূর উদ্দীন আবীর: প্রথমেই কিন্তু আমরা আন্দোলনে নামিনি। প্রথমে মৌখিকভাবে প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি, পরে স্মারকলিপি দিয়েছি, মানববন্ধন করেছি। প্রশাসনের সাড়া না পেয়ে একেবারে শেষে গিয়ে আমরা আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি।

ছাত্রদল যৌক্তিক দাবি তুলেছে বলেই প্রশাসন ও অন্য সংগঠনগুলোও মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কিন্তু এটা পর্যবেক্ষণ করছেন। রাবিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কারা দাবি তুলছে আর কারা প্রশাসনের তাঁবেদারি করছে- এখানে পার্থক্য স্পষ্ট

সেই প্রথম থেকেই আমরা যখন তাদের ভোটাধিকার নিয়ে দাবি তোলা শুরু করেছিলাম, তখন থেকেই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে কানেক্টেড হওয়া শুরু করেন। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগটাও ভালো। এখন পর্যন্ত আমরা তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের রাকসুতে ভোটের অধিকার বাস্তবায়নে যারা লড়াই করেছেন, তাদেরই তারা বেছে নেবেন।

জাগো নিউজ: জাকসুতে হাতে হাতে ভোট গণনায় ৪০ ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। একজন শিক্ষকও মারা গেছেন। এতকিছুর পরও রাকসুতে হাতে ভোট গণনার দাবি তোলা কতটা যৌক্তিক?

শেখ নূর উদ্দীন আবীর: সংবাদ সম্মেলন করে আমরা ১২ দফা দাবি জানিয়েছি। তার মধ্যে অন্যতম দুটি দাবি হলো—স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ম্যানুয়ালি ভোট গণনা করতে হবে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স না থাকলে কারচুপির বিরাট আশঙ্কা থেকে যাবে। গণনায়ও ম্যানুয়াল পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি। মেশিনে ভোট গণনা হলে প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে যে কোনোভাবে ফলাফল টেম্পারিং করা সম্ভব। এ কারণে আমরা হাতে গণনার দাবি জানিয়েছি।

জাগো নিউজ: কিন্তু রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার তো জানিয়ে দিয়েছেন, তারা মেশিনে ভোট গণনা করবেন। আপনারা সেটা মেনে নিয়েছেন নাকি দাবিতে অটল আছেন? যদি অটল থাকেন, আর দাবি পূরণ না হয়, তাহলে কি ভোট বর্জন করবেন?

শেখ নূর উদ্দীন আবীর: নির্বাচন ২৫ তারিখ (সেপ্টেম্বর)। আমরা ১২ দিন আগে হাতে ভোট গণনার দাবি জানিয়েছি। প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে জনবল বাড়িয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোট গণনার ব্যবস্থা করতে পারে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তার কমতি নেই। তাদের এখন প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে ওইদিন (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতের মধ্যেই ভোট গণনা করে ফল প্রকাশ সম্ভব। সেজন্য ম্যানুয়ালি ভোট গণনার দাবিতে অটল রয়েছি। আশা করি, প্রশাসন দাবি মেনে নেবে এবং ম্যানুয়ালি ভোট গণনার ব্যবস্থা করবে।

জাগো নিউজ: আপনাদের দাবির মুখে সব সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নির্বাচন পেছানো, প্রথম বর্ষকে ভোটার তালিকাভুক্ত করা, লটারির মাধ্যমে ব্যালট নম্বর নির্ধারণ ইত্যাদি। লটারিতে আপনি ৫ নম্বর ব্যালট পেয়েছেন। নামের আদ্যক্ষর ধরে ব্যালট দিলে অনেক নিচে নাম থাকতো। এতে কী লাভবান হয়েছেন?

শেখ নূর উদ্দীন আবীর: না, ব্যালট নম্বর কোনো ফ্যাক্ট নয়। যেটা পেয়েছি, তাতেই খুশি। শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার ভালোবাসা, আমার প্রতি শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা—এ দুটি বিষয় ভোটের দিনে আমার ব্যালট খুঁজে দেবে। এখানে ৫ না হয়ে যেটাই হতো আমি খুশি হতাম।

সাইবার বুলিংটা শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটা গোটা বাংলাদেশের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিং, হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে ফেসবুকে তাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে একটি গোষ্ঠী

আর দাবির কথা যেটা বলছেন, সেটা সবই যৌক্তিক। ছাত্রদল যৌক্তিক দাবি তুলেছে বলেই প্রশাসন ও অন্য সংগঠনগুলোও মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কিন্তু এটা পর্যবেক্ষণ করছেন। রাবিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কারা দাবি তুলছে আর কারা প্রশাসনের তাঁবেদারি করছে- এখানে পার্থক্য স্পষ্ট।

জাগো নিউজ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র আবাসন সংকট। খাবার পানি, ডাইনিং-ক্যান্টিনে খাবারের মানসহ নানা সমস্যায় শিক্ষার্থীরা জর্জরিত। ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল জয়ী হলে শিক্ষার্থীদের জন্য কী কী করবেন?

শেখ নূর উদ্দীন আবীর: রাবিতে ৩০ শতাংশের কম শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা আছে। বাকি ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বাইরে থাকতে হয়। তারা ছাত্রাবাসে থেকে পড়ালেখা করেন। এ সমস্যা নিরসনে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। যদি জয়ী হই, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি মাস্টারপ্ল্যান করবো। তাতে প্রশাসন সাড়া না দিলে প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করবো।

প্রশাসন ও সরকারকে একটি রূপরেখা দিতেই হবে, যার মাধ্যমে আগামী দিনে রাবিকে শতভাগ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা যায়। এটা হয়তো একদিনে সম্ভব নয়। তারা যেন ধীরে ধীরে শতভাগ আবাসিকতার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যায়।

আরেকটি বিষয় দ্রুত বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো, সেটা হলো—বর্তমানে যারা অনাবাসিক শিক্ষার্থী, তাদের ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা। তাদের যেন ছাত্রাবাসে থেকে পড়ালেখার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে না হয়, সেজন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করবো।

এছাড়া রাজশাহী অঞ্চলে যারা বাইরে থেকে পড়ালেখা করতে আসেন, তারা এসেই প্রথমে পানির সমস্যায় পড়েন। এটা দীর্ঘদিনের অভিযোগ। আমরা সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসে তথা আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবনে নিরাপদ-সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো। একই সঙ্গে ডাইনিং-ক্যান্টিনের খাবারের মান বাড়াতে কাজ করবো।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাকসু নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তারা অপতৎপরতা চালাচ্ছেন, সেগুলো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা রুখে দিচ্ছি। কেন তারা একের পর এক অপতৎপরতা চালাচ্ছেন, তা বোধগম্য নয়

আরেকটি বিষয় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হলো—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র; এ চিকিৎসাকেন্দ্র নিয়ে আমাদের শতভাগ শিক্ষার্থী অসন্তুষ্ট। শিক্ষার্থীরা এটিকে ‘নাপা সেন্টার’ নামে অভিহিত করেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ কথিত ‘নাপা সেন্টার’কে আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্রে পরিণত করতে চাই।

জাগো নিউজ: সাইবার বুলিং প্রতিরোধ, হয়রানি রুখে দেওয়া, সর্বোপরি নারীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার ব্যাপারে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের পরিকল্পনা কী?

শেখ নূর উদ্দীন আবীর: সাইবার বুলিংটা শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটা গোটা বাংলাদেশের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিং, হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে ফেসবুকে তাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে একটি গোষ্ঠী। সামাজিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোতে নারীদের যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সাইবার বুলিং।

অনেকে ভয়ে এ কারণে রাকসুতেও প্রার্থী হতে চাননি বলে আমরা শুনেছি। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি, করে যাবো। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শক্তিশালী সাইবার বুলিং প্রতিরোধ সেন্টার গড়ে তুলতে বাধ্য করবো। যাতে নারীরা অবাধে তাদের কার্যক্রম ও মতপ্রকাশ করতে পারেন এবং সবক্ষেত্রে তারা ভূমিকা রাখতে পারেন।

জাগো নিউজ: ডাকসুতে ভোটগ্রহণ শেষে অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদল। মিছিল করেছে, উপাচার্যের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছে। জাকসুতে ভোটগ্রহণ শেষের এক ঘণ্টা আগে বর্জন করেছে। রাকসুতে কী শেষ পর্যন্ত ছাত্রদল মাঠে থাকবে?

শেখ নূর উদ্দীন আবীর: সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে রাকসুতে ছাত্রদল মাঠে আছে, মাঠে থাকতেও চায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাকসু নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তারা অপতৎপরতা চালাচ্ছেন, সেগুলো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা রুখে দিচ্ছি। কেন তারা একের পর এক অপতৎপরতা চালাচ্ছেন, তা বোধগম্য নয়। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি—প্রচার-প্রচারণা ও ভোটগ্রহণ থেকে গণনা পর্যন্ত তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে পালন করবেন। আমরা যেন কোনো অভিযোগই তুলতে না পারি—এমনভাবে যেন তারা কাজ করেন। তাহলেই আমরা মাঠে থাকবো। তাহলে উৎসবমুখর পরিবেশে রাকসুতে ভোট দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।

এএএইচ/এমএফএ/এমএস

Read Entire Article