মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক সদর দপ্তর দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এ নিয়ে দ্বিতীয় আঞ্চলিক কমান্ড সেন্টার হারালো জান্তা বাহিনী। সম্প্রতি মিয়ানমারজুড়েই বিদ্রোহীদের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে সামরিক বাহিনী।
আরাকান আর্মি জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে দুই সপ্তাহ তুমুল লড়াইয়ের পর পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড দখলে নেওয়া হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য আসেনি মিয়ানামারের সামরিক সরকারের মুখপাত্রের কাছ থেকে।
২০২১ সালে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ বিভিন্ন রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলো। প্রথম দিকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে তারা বিক্ষোভ করলেও পরবর্তীসময়ে তা সশস্ত্র লড়াইয়ে রূপ নেয়।
২০২৩ সালে আরাকান আর্মি জান্তার বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে। আগস্টে আরাকান আর্মি উত্তরপূর্বাঞ্চলের শহর লাসিও দখল করে। এর মাধ্যমে তারা মিয়ানমারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি আঞ্চলিক কমান্ড দখলে নেওয়ার সক্ষমতা দেখায়।
বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেষা রাখাইন রাজ্যটি মিয়ানমারের একটি দরিদ্র অঞ্চল।
কিছু রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্ট জানিয়েছেন, রাখাইনে উত্তরাঞ্চালে অভিযানের সময় তাদের কমিউনিটিকে টার্গেট করে আরাকান আর্মি। এরপর কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে বাংলাদেশে যায়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরাকান আর্মি।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম