রাজধানীর বনানীতে গাড়ির ধাক্কায় ২ পোশাককর্মী নিহতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তার সহকর্মীরা। সোমবার সকালে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সড়ক অবরোধের ফলে পুরো ঢাকা জুড়ে যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। গাড়ির চাকা যেন ঘুরছেই না। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, মিরপুর, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, মগবাজার, গুলিস্তান, বাড্ডা, রামপুরা সড়কে তীব্র যানযট দেখা গেছে। পুরো হাতিরঝিল সড়ক প্রায় স্থবির হয়ে আছে। বিশেষ করে এফডিসি গেট থেকে গুলশানমুখী সড়ক ও মগবাজারমুখী সড়কে তীব্র যানজট রয়েছে।
আজ আবহাওয়া কিছুটা গরম থাকায় মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়েছে৷ দীর্ঘক্ষণ সড়কে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় মানুষের চোখেমুখে বিরক্তির ছাপ দেখা গেছে। তাই বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে অনেকে হেটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
মগবাজার এলাকায় কথা হয় তানভীর কাদেরের সঙ্গে। তিনি বাড্ডার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তানভীর বলেন, শাহবাগ থেকে মগবাজার মোড়ে আসতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। সাধারণত কিছুটা জ্যাম থাকলেও ১৫-২০ মিনিট লাগে। আজকে গাড়ির চাকা যেন ঘুরছেই না। আবার গরম পড়ছে কিছুটা। রোজা রেখে যানযটে ক্লান্ত হয়ে গেছি।
ফার্মগেট এলাকায় সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বনানী যাচ্ছিলাম। এখন দেখছি গাড়ি চলছে না। পুরো রাস্তা যানযটে আটকে আছে। এখন বাসায় ফিরে যাচ্ছি। এই জ্যাম আজকে শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না।
বনানীর ঐ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টসকর্মীরা ইনকামিং এবং আউটগোয়িং উভয় দিকের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া গার্মেন্টসকর্মীরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
তবে ট্রাফিক গুলশান বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে বনানী-কাকলী ক্রসিং এবং মহাখালীর আমতলীতে ডাইভারশন দিয়ে গুলশান-২ থেকে গুলশান- ১ হয়ে আমতলী দিয়ে ইনকামিং এবং একইভাবে আউটগোয়িংয়ে চলাচল করা যাচ্ছে।
এনএস/এএমএ/জেআইএম