রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় এক তরুণ ও এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত দুজন হলেন মো. ফয়সাল (২৮) ও উম্মে কায়েস রিংকি (৩১)। ফয়সাল চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানার মো. ইকবাল হোসেনের ছেলে। তিনি রাজধানীর কদমতলী থানার মোহাম্মদবাগে ফুপার বাসায় থেকে তার দোকানে কাজ করতেন। আর রিংকি গাজীপুর সদরের কাশিমপুর ইউনিয়নের সারদাগঞ্জের আতাউর রহমান খানের মেয়ে। তিনি রাজধানীর চকবাজার থানার পোস্তার আরএনডি রোডের বাসায় স্বামী মো. সাইদুর রহমান সেন্টুকে নিয়ে থাকতেন।
কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আক্তার হোসেন জানান, তারা খবর পেয়ে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসার শৌচাগার থেকে গলায় গামছা পেঁচানো ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
স্বজনদের বরাত দিয়ে এসআই আক্তার বলেন, ফয়সাল রাতে সবার অগোচরে শৌচাগারে গিয়ে গ্রিলের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরে তার ফুপা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। ফয়সাল কী কারণে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তা তার ফুপা বলতে পারেননি। পুলিশ বিষয়টি বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ফয়সালের ফুপা আমির হোসেন বলেন, ‘আমার এই ভাতিজাকে ছোটবেলায় আমার কাছে আনি এবং গুলিস্তানে আমার দোকানে থাকতো। কী কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তা আমরা কিছুই বলতে পারবো না।’
অন্যদিকে, চকবাজার থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, তারা খবর পেয়ে সোমবার রাত ১০টার দিকে রিংকির মরদেহ উদ্ধার করেন। বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মরদেহটি ঝুলছিল। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে এটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
এসআই নজরুল বলেন, ‘স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, রিংকির কোনো সন্তান নেই। স্বামী-স্ত্রী ওই ভবনেই থাকতেন। কী কারণে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তা আমরা এখনো জানতে পারিনি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত্রের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
কাজী আল আমিন/একিউএফ/এমএস