ক্রিকেট বিশ্বকে স্তম্ভিত করে গেল মে মাসে টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ভারতের দুই কিংবদন্তি বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। এমন সময় লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানান তারা, যখন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মর্যাদাবান অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি শুরুর মাত্র কয়েকদিন বাকি।
তাৎক্ষণিক প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে খারাপ পারফরম্যান্সের কারণেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোহলি ও রোহিত।
কিন্তু এবার ভারতের সাবেক ক্রিকেটার কারসন ঘাভরির এক মন্তব্যে দুই তারকা ব্যাটারের অবসরের পেছনের গল্প নিয়ে নতুন করে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।
ঘাভরি বলেছেন, রোহিত ও কোহলি দুজনই ভারতের জন্য টেস্ট খেলতে চলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিসিসিআইয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি তাদের বাধ্য করেছে এই সিদ্ধান্ত নিতে। এর জন্য নির্বাচক প্যানেলকেও দায়ী করেছেন তিনি।
ভিকি লালওয়ানি শো-তে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার বলেন, ‘সে (কোহলি) অবশ্যই ভারতের হয়ে আরও কয়েক বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু তাকে সত্যিই কিছু চাপিয়ে অবসর নিতে হয়েছিল। দুঃখজনক বিষয় হলো, যখন সে অবসর নিল, তখন বিসিসিআই তাকে কোনো বিদায় অনুষ্ঠানও দেয়নি।’
ঘাভরি আরও বলেন, ‘বিসিসিআই-এর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে এমনটি হলো, যা বোঝা সত্যিই কঠিন। আমার মনে হয়, এই কারণেই তারা সময়ের আগেই অবসর নিল। রোহিত শর্মাও একইভাবে অবসর নিয়েছেন। তাদের বলানো হয়েছিল চলে যেতে। তারা নিজে চাইছিল না।’
‘তারা খেলতে চালিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু নির্বাচক ও বিসিসিআই-এর অন্য পরিকল্পনা ছিল। এটি ছোটখাটো রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে’- যোগ করেন ঘাভরি।
২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকেও অবসর নিয়েছিলেন কোহলি-রোহিত। এখন শুধু ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়া বাকি তাদের।
কোহলি-রোহিতের স্বপ্ন, ২০২৭ বিশ্বকাপে ভারতকে আবারও ট্রফি জেতানো। তবে সম্প্রতি কিছু প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এই জুটি সম্ভবত শীঘ্রই ওয়ানডে থেকেও অবসর নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নও শেষ যেতে পারে দুই কিংবদন্তির।
এমএইচ/এমএস