রাজশাহী কারাগারে বন্দির আত্মহত্যা কারারক্ষী বরখাস্ত তদন্ত কমিটি

1 month ago 23

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দি আত্মহত্যার ঘটনায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। ওই বন্দির নাম ওমর কিসকু (৩১)। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। রাজশাহী বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক কামাল হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কারা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার শিমলাদিঘীপাড়া এলাকার সাহেব কিসকুর ছেলে ওমর কিসকু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ৯(৩) (সং/০৩) ধারায় ৩০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩৯৪ ধারায় ৩০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন ২০১২ সালের ১৬ মে। এই মামলায় ২০১১ সালের ১৫ জুলাই গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি রাজশাহী কারাগারে ছিলেন। এর মধ্যে ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট তিনি কারাগারের পেরিমিটার ওয়াল টপকে জেল থেকে পালিয়ে যান। ওই দিনই তিনি ধরা পড়েন। এরপর থেকেই ওমর কিসকু রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সেলে বন্দি ছিলেন। গত ২৬ নভেম্বর রাত সোয়া ১০টার দিকে তিনি সেলের দরজার ওপরের অংশের লোহার পাতের সঙ্গে পাজামার ফিতা লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজশাহী বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক কামাল হোসেন জানান, কারা অভ্যন্তরে আত্মহত্যার খবর জানার পরই এ নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি জানান, এ ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্তের জন্য এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন তিনি। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেল সুপার এএসএম কামরুল হুদাকে সদস্য এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারের জেলার জাকির হোসেনকে এ কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক কামাল হোসেন জানান, এরই মধ্যে এই কমিটি কাজ শুরু করেছে। কারাগারের ভেতরের সিসি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন কারা মহাপরিদর্শককে জানানো হবে। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এই ঘটনার পেছনে কারাগারের কারও দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তিনি শাস্তির আওতায় আসবেন। এরই মধ্যে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ঘটনার সময় সেলের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী জোবায়ের আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই এলাকার ইনচার্জ সহকারী প্রধান কারারক্ষী আব্দুল জলিল ও সেলের কর্তব্যরত কারারক্ষী জোবায়ের আহমেদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।

Read Entire Article