বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কয়ারের জন্য নির্মিত ভবনের নাম পরিবর্তন করে ‘রাজশাহী আরডিএ কমপ্লেক্স’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। নবনির্মিত ভবনের নাম পরিবর্তনের অনুমতি চেয়ে শিগগিরই গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে।
রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) সূত্র মতে, বঙ্গবন্ধু চত্বর (স্কয়ার) প্রকল্পের আওতায় ২০১৭ সালে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। ২০১৮ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন হয় একনেকে। অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু কাজের মাঝপথে এসে প্রকল্পটির নকশায় ব্যাপক পরিবর্তন আনে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।
মহানগরীর তালাইমারী মোড়ে এ প্রকল্পের জন্য খরচ ধরা হয়েছিল প্রথমে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। পরে সেটির ব্যয় বাড়িয়ে শুধুমাত্র প্রথম ধাপের (অবকাঠামো নির্মাণ বাবদ) জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। প্রথমে প্রকল্প মেয়াদ ছিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত। পরে সেটি ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়।
আরডিএ সূত্র আরও জানায়, ৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ হাজার ৫১৮ দশমিক ০৮ বর্গমিটার জমিতে নির্মিত ভবনটি প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী নির্মাণকৃত এ চত্বরটির বেজমেন্টে গাড়ি পার্কিং, আর্ট গ্যালারি ও জলধারাবেষ্টিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করার কথা ছিল। এছাড়া সাউন্ড সিস্টেম, লাইটিং এবং ডিজিটাল স্ক্রিনযুক্ত স্থায়ী আর্ট গ্যালারি ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নিয়ে জাদুঘর করা হয়। ফার্স্ট ফ্লোরে রেস্তোরাঁ, ল্যান্ডস্কেপ, উন্মুক্ত স্থানে বসা এবং সুস্থধারার বিনোদনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তবে ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ বাতিল করে। ফলে নির্মানের ছয় মাস পার হলেও এটা কি হিসেবে ব্যবহার হবে তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না কর্তৃপক্ষ। ফলে ছয় মাস বন্ধ ছিল কমপ্লেক্সটি।
আরডিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রহমাতুল্লা বলেন, ‘আমরা নবনির্মিত ভবনটির নাম পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠাচ্ছি। কারণ এটি আর শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয় নতুন নামের অনুমোদন দিলেই ভবনের জিনিসগুলো সাংস্কৃতিক কাজে ব্যবহার করা হবে।’
সাখাওয়াত হোসেন/এএইচ/জেআইএম