রাজশাহীতে সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০-৪৫ টাকা বেড়েছে পিঁয়াজের দাম

8 hours ago 6

রাজশাহীর বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া আলু ও ডিমের দামও সামান্য বেড়েছে। তবে ক্রেতাদের স্বস্তি দিয়েছে সবজির দামের স্থিতিশীলতা।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজশাহীর সাহেববাজার, ভদ্রা ও লক্ষ্মীপুর বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১১০ টাকা। এছাড়া আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। ডিমের হালি প্রতি ৩ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। যা পূর্বে ছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা।

এদিকে বেশিরভাগ সবজিতেই আগের তুলনায় দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে যেখানে অধিকাংশ সবজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, সেখানে বর্তমানে দাম নেমে এসেছে ৪০-৬০ টাকার মধ্যে।

বিক্রেতারা বলছেন, মাঠে নতুন সবজি উঠতে শুরু করেছে, শীত পুরোপুরি নামলে দাম আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া বাজারে গত সপ্তাহের মতোই প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা (প্রতি পিস), ফুলকপি ৫০ টাকা (ছোট), বাঁধাকপি ৪০ টাকা (ছোট), মূলা ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কচু ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা।

রাজশাহীতে সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০-৪৫ টাকা বেড়েছে পিঁয়াজের দাম

সাহেববাজারে সবজি কিনতে আসা শিক্ষক রুবেল বলেন, সবজির দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি মিলছে। তবে মশলার বাজার এখনও অসহনীয়। কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মামুন বলেন, আমদানি কম থাকায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। প্রতিদিনই প্রায় ৫ থেকে ১০ টাকা করে বাড়ছে। সামনে আরও বাড়তে পারে।

সাহেব বাজারের আরেকজন বিক্রেতা বলেন, ট্রাকভাড়া বেড়েছে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় সবজি আনতে গেলে এখন অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে। এতে খরচ বেড়ে গেছে। আমরা তো লোকসান দিয়ে পণ্য বিক্রি করতে পারি না।

এ দিকে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের মাংসের বাজারও। বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৩৮০ টাকা, পোয়া মাছ ৬০০ টাকা, মৃগেল মাছ ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, এক কেজি থেকে কিছুটা বেশি পাঙাশের দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, দেড় কেজির বেশি পাঙাশের দাম ২৫০ টাকা। এছাড়া শিং মাছ সাড়ে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। চিংড়ি মাছ ৯০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা। বোয়াল ৮০০-১০০০ টাকা, কোরাল ৮৫০-৯০০ টাকা, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, কাতল ৪৫০ টাকা।

অন্যদিকে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়, আর সোনালি মুরগির কেজির জন্য গুনতে হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। এছাড়া লাল লেয়ার কেজিপ্রতি ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়। এক ডজন ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম এখন ১৪০-১৪৫ টাকা। সাদা ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।

বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮২ থেকে ৯২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৬২ থেকে ৬৫ টাকা এবং ব্রি২৮ বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে আদা ১০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১২৫ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, খেসারির ডাল ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনি ১২০ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল খোলা ১৬৫, বোতলজাত ১৭৫ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।

আদা ও রসুনের দাম ও কিছুটা স্থিতিশীল আছে, রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১০০ টাকা ও আদা মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাখাওয়াত হোসেন/কেএইচকে/জেআইএম

Read Entire Article