ছাত্রদল কর্মী সাজ্জাদ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮

12 hours ago 9

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ায় দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ছাত্রদল কর্মী নিহতের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরী এবং সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে, সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত পৌনে ১টার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানার সৈয়দ শাহ রোডের মদিনা আবাসিকের সামনে এক্সেস রোডে দুগ্রুপে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে মো. সাজ্জাদ (২৩) নামে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত ১৩ জন।

নিহত সাজ্জাদ চসিক মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের অনুসারী এবং নগর যুবদলের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার গ্রুপের কর্মী ছিলেন। নগরীর বাকলিয়ার তক্তারপুল এলাকায় তাদের বাসা এবং বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায়।

গ্রেপ্তার আটজনের মধ্যে ছয়জনের নাম মামলার এজাহারে আছে। তারা হলেন- সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেন সাগর (৩০), তামজিদুল ইসলাম সাজু (৪৭), মো. আরাফাত (২২) ও জিহান (২২)। এদের মধ্যে সাইদুল ছাড়া সবার বাড়ি দক্ষিণ চট্টগ্রামে। এ ছাড়া তদন্তে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় মো. ওসমান (২৮) ও দিদারুল আলম রাসেলকেও (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

এদিকে সাজ্জাদ খুনের ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদ আলম মঙ্গলবার রাতে বাকলিয়া থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫ থেকে ৪০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরই আমরা ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করি। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ শুরু করি। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর মামলা হয়েছে। মামলা রেকর্ডের সঙ্গে সঙ্গেই আমরা অভিযানে নামি। শহরের বাকলিয়াসহ আশপাশের এলাকা এবং পটিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক টিম একযোগে অভিযান চালিয়ে রাতের মধ্যেই আমরা আটজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের সবাইকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’


 

Read Entire Article