ছাত্র আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর থেকে নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণের প্রত্যয় নিয়ে দেশব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও যানজট নিরসনে রাজপথে নেমে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীতেও প্রধান সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, নগরীর বাস টার্মিনাল, আলুপট্টি মোড়, সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট, মনিচত্বর, লক্ষ্মীপুর, রেলগেট, বর্ণালী মোড়সহ এলাকায় যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থী, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের রোভার স্কাউট সদস্য, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা এ দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের সংকট মুহূর্তে যখন পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতিতে আছেন, ঠিক তখনই শিক্ষার্থীদের এমন ভূমিকায় খুশি পথচারীরাও।
রাজশাহীর সাহেব বাজারে আসা ষাটোর্ধ্ব পথচারী নাজমুল আলম বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে আমরা মোবাইল আসক্ত আর অলস হিসেবেই জানতাম। কিন্তু এই প্রজন্ম আমাদের সামনে নতুন পরিচয় এনেছে। নিজের জীবন দানের বিনিময়ে দেশকে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন করেছে। তারা একটা দেশকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছে। এই প্রজন্মই দেশকে সুন্দরভাবে সাজাবে বলে আশাবাদী।’
গৃহিণী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘কয়েক দিন পর বাজারে এলাম। শিক্ষার্থীরা রাস্তাঘাট পরিষ্কার করছে। ট্রাফিক দেখাশোনা করছে। তাদের এসব কাজ প্রশংসার দাবিদার।’
জিরো পয়েন্টে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিলেন নগরীর বুদ্ধিজীবী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও স্কাউট সদস্য ওয়ালিদ হাসান আপন। তিনি বলেন, ‘দেশ তো ধ্বংসস্তূপ হয়ে আছে। কোথাও আইনশৃঙ্খলা ঠিক নেই। এই মুহূর্তে নিজ দেশের জন্য যদি আমরা না আসি, তাহলে কখন দেশের জন্য কাজ করবো? সেজন্য শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় আছি।’
সাখাওয়াত হোসেন/এসআর/এমএস