রাজশাহীর সেই বাড়িটিতে সুড়ঙ্গ নেই, নির্মাণ শৈলি এমন

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের উত্তর-পূর্ব পাশে অবস্থিত দিঘাপতিয়ার রাজপরিবারের পরিত্যক্ত একটি জরাজীর্ণ বাড়ি ভাঙতে গিয়ে পাওয়া সুড়ঙ্গসদৃশ কাঠামোটি আসলে কোনো সুড়ঙ্গ নয়। এটি নির্মাণশৈলি বলে জানিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এমনকি এটি রাজবাড়ির কোনো লিখিত ইতিহাসও নেই। সম্প্রতি তদন্ত শেষে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বিভাগের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে রাজবাড়িটি ভাঙা ও সুড়ঙ্গ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বন্ধ রাখা হয় ভাঙার কাজ। এরপর জেলা প্রশাসন লাল নিশানা টাঙিয়ে ভবনটির অবশিষ্ট অংশ রক্ষা করে। বিষয়টি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরকে জানিয়ে তদন্তের আবেদন করে। এরপরই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর তদন্তে নামে। তদন্ত শেষে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আরও পড়ুন- রাজপরিবারের পরিত্যক্ত বাড়িতে সুড়ঙ্গসদৃশ কাঠামো, বন্ধ ভাঙার কাজ বোয়ালিয়া ভূমি অফিস জানিয়েছে, নগরীর দরগাপাড়া মৌজায় ৫২৪ খতিয়ানের এই জমির দাগ নম্বর ৪৭। শ্রেণি ‘সিভিল ডিভিশন অফিস’। মালিকের ঠিকানায় ‘দিঘাপতিয়া স্টেট, বলিহার, থানা–নাটোর’ লেখা । ১৯৮১ সালে বাড়িটি ‘অর্পিত সম্পত্তি’ ঘোষণা করা হয়। যদিও সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশে বলা হয়েছে, ১৯৭৪ সালের পর কোনো সম্পত্

রাজশাহীর সেই বাড়িটিতে সুড়ঙ্গ নেই, নির্মাণ শৈলি এমন

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের উত্তর-পূর্ব পাশে অবস্থিত দিঘাপতিয়ার রাজপরিবারের পরিত্যক্ত একটি জরাজীর্ণ বাড়ি ভাঙতে গিয়ে পাওয়া সুড়ঙ্গসদৃশ কাঠামোটি আসলে কোনো সুড়ঙ্গ নয়। এটি নির্মাণশৈলি বলে জানিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এমনকি এটি রাজবাড়ির কোনো লিখিত ইতিহাসও নেই। সম্প্রতি তদন্ত শেষে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বিভাগের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে রাজবাড়িটি ভাঙা ও সুড়ঙ্গ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বন্ধ রাখা হয় ভাঙার কাজ। এরপর জেলা প্রশাসন লাল নিশানা টাঙিয়ে ভবনটির অবশিষ্ট অংশ রক্ষা করে। বিষয়টি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরকে জানিয়ে তদন্তের আবেদন করে। এরপরই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর তদন্তে নামে। তদন্ত শেষে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

আরও পড়ুন-
রাজপরিবারের পরিত্যক্ত বাড়িতে সুড়ঙ্গসদৃশ কাঠামো, বন্ধ ভাঙার কাজ

বোয়ালিয়া ভূমি অফিস জানিয়েছে, নগরীর দরগাপাড়া মৌজায় ৫২৪ খতিয়ানের এই জমির দাগ নম্বর ৪৭। শ্রেণি ‘সিভিল ডিভিশন অফিস’। মালিকের ঠিকানায় ‘দিঘাপতিয়া স্টেট, বলিহার, থানা–নাটোর’ লেখা । ১৯৮১ সালে বাড়িটি ‘অর্পিত সম্পত্তি’ ঘোষণা করা হয়। যদিও সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশে বলা হয়েছে, ১৯৭৪ সালের পর কোনো সম্পত্তিকে অর্পিত ঘোষণা করা যাবে না। এরপরও কীভাবে ১৯৮১ সালে বাড়িটিকে অর্পিত ঘোষণা করা হয়েছে, তা রহস্যজনক।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম সাইফুর রহমান বলেন, রাজশাহীর এই বাড়িটিতে ব্রিটিশ বা কলনিয়ন পিরিয়ডের ভবনের ভিত রয়েছে। এটি কিলান নকশা, সুড়ঙ্গ নয়। এমনকি এটি যে রাজবাড়ি, তার লিখিত বা ইতিহাস পাওয়া যায়নি। এটি ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ হয়। বাড়িটিতে সুড়ঙ্গ নয়, খিলান ধরনের স্থপানা নির্মাণ শৈলি।

তিনি আরও বলেন, আমরা এটি ঢাকায় পাঠাবো। তবে সংরক্ষণ করা বা এটি বিচার বিশ্লেষণ করার ব্যাপারে ঢাকা থেকে সিদ্ধান্ত নেবে।

সাখাওয়াত হোসেন/এফএ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow