রাজশাহীতে ৯১৩ চালের মিল মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছেন খাদ্য বিভাগ। আঞ্চলিক খাদ্য বিভাগ থেকে চাল সংগ্রহ শেষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে এ সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজশাহী খাদ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী উপ-পরিচালক ওমর ফারুক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খাদ্য অফিসের তথ্যমতে, রাজশাহী বিভাগে আমন সংগ্রহ ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে সিদ্ধ চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ১১ হাজার ২৬৩ মেট্রিক টন। তবে সংগ্রহ হয়েছে ৯৪ হাজার ৭০৭ দশমিক শূন্য ৯০ মেট্রিক টন। আতপ চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৮৯১ মেট্রিক টন। সংগ্রহ হয়েছে ১৯ হাজার ৫২৯ মেট্রিক টন।
খাদ্য বিভাগের সুপারিশ দেখা গেছে, বিভাগে চাল না দেওয়া ও চাল সংগ্রহে চুক্তি না করায় ৯১৩ মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে চুক্তি যোগ্য ছিল কিন্তু চুক্তি করেনি এমন মিলের সংখ্যা ৭৫১টি। এরমধ্যে আটো রাইসমিল ৪৫ ও হাস্কিং মিল ৭০৬টি। এছাড়াও চুক্তি করে চালা দেয়নি এমন মিলের সংখ্যা ১৬২টি। এদের মধ্যে ৮০ ভাগ চাল দিয়েছে এমন মিলের সংখ্যা ৩০টি। ৫০ ভাগ চাল দিয়েছে এমন মিলের সংখ্যা ৭১টি। চুক্তিবদ্ধ হয়েও কোনো চাল দেয়নি এমন মিলের সংখ্যা ৬১টি।
৬১ মিল কোনো চালই প্রদান করেনি। এমন মিল রাজশাহী জেলায় একটি একটি, নওগাঁয় আটটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ তিনটি, পাবনায় ১১টি, বগুড়ায় ৩৪টি ও জয়পুরহাটে তিনটি। আর আতপ চালে দেয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একটি মিল।
এদিকে সিদ্ধা চালের চুক্তির বিপরীতে ৮০ শতাংশ চাল দিয়েছে এমন মিলের মধ্যে নাটোরে আছে দুটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুটি, পাবনায় তিনটি, সিরাজগঞ্জে দুটি, বগুড়ায় ১৫টি ও জায়পুরহাটে একটি । আর আতপ চাল দিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চারটি ও সিরাজগঞ্জের একটি মিল।
সিদ্ধা চাল চুক্তি করে ৫০ শতাংশ চাল দিয়েছে এমন মিলের সংখ্যা আছে রাজশাহীতে দুটি, নাটোরে একটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুটি, পাবনায় পাঁচটি, একটি সিরাজগঞ্জে, বগুড়ায় ৪৭টি ও জয়পুরহাটে তিনটি। আতব চাল দিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯টি ও বগুড়ায় একটি মিল।
খাদ্য অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে সহকারী উপ-পরিচালক ওমর ফারুক বলেন, বিভাগের যেসব মিল চাল দেয়নি বা চুক্তিযোগ্য ছিল কিন্তু চুক্তি করেনি এমন মিল সংখ্যার একটি তালিকা আমরা করেছি। রাজশাহী বিভাগের ৯১৩টি মিলে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ আমরা মন্ত্রণালয়ে করেছি। তাদের বিরুদ্ধে এখন মন্ত্রণালয় কী ব্যবস্থা নিবেন সেটি তারা ঠিক করবেন।
তিনি আরও বলেন, এবার যারা ৫০ শতাংশ চাল দিয়েছে ও ৮০ শতাংশ চাল দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে জামানত করা অর্থের টাকা থেকে টাকা জরিমানা করার সুপারিশ করেছি। পাশাপাশি যারা কোনো ধরনের চালই দেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছি। এখন মন্ত্রণালয় তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিবে সেটি দেখার বিষয়। তবে যে ব্যবস্থা নিবেন আমরা সেটি বাস্তবায়ন করবো।
সাখাওয়াত হোসেন/আরএইচ/জেআইএম