রাজ্জাকের চোখে বাংলাদেশের ক্রিকেটে তরুণদের উত্থান নতুন অধ্যায়
বাংলাদেশের জাতীয় লিগ দেশের ক্রিকেট কাঠামোর ভিত্তি হয়ে উঠেছে, যেখানে তরুণ খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পান। নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাকের মতে, জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়া অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের শূন্যস্থান পূরণে তরুণদের সময় প্রয়োজন। জাতীয় লিগ এবং বিসিএল থেকে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স তুলে আনা তরুণরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপযুক্ত হতে পারবেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই স্পিনার ও বর্তমান জাতীয় দলের নির্বাচক বলেন. ‘১৫–২০ বছর ক্রিকেট খেলে চলে যায় তখন সঙ্গে সঙ্গে ঐ ক্রিকেটারের বদলি পাওয়া একটু মুশকিল। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি। তারপরও আমাদের দেশে যারা তরুণ ক্রিকেটার আছে। দেশে খুব তরুণ মনে হয়। আমি খুব আশাবাদী তাদের নিয়ে। এখান থেকে গেলে তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করতে হবে। ঐ লেভেলটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে আর একটু সময় লাগবে ওদের।’
তিনি জাতীয় লিগে তরুণদের পারফরম্যান্স নিয়ে বলেন, ‘জাতীয় লিগে অনেকে ভালো করছে। আমরা চাই তারাও আরও ভালো খেলুক। যেন আমাদের সন্দেহ না হয় তাদের পারফরম্যানস নিয়ে। যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সন্দেহ নিয়ে একটা ক্রিকেটারকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে যদি সেখানে সে ভালো করে তাহলে ব্যাপারটা ভালো। খারাপ করলে দারুণ একটা সম্ভবনা নষ্ট হওয়ার সুযোগ চলে আছে। আমরা চাই ক্রিকেটাররা ধারাবাহিক রান করুক। ম্যাচিউর হোক। যেন মোটামুটি ধরে নেওয়া যেন সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত। এ বছর অমিত হাসানের নাম এসেছে। তার ট্যাম্পারম্যান্ট খুব ভালো। আমরাও তার ব্যাপারে দেখছি। আমরা চাই বাকি রাউন্ডগুলোতে সে ভালো করবে।’
তিনি আরও বলেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের প্রতি বাড়তি আকর্ষণ সত্ত্বেও চারদিনের ক্রিকেটই আসল মানদণ্ড। জাতীয় লিগের উন্নত উইকেট এবং প্রতিযোগিতা ভবিষ্যৎ তারকা তৈরি করতে সাহায্য করবে বলে তিনি আশাবাদী।
এছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়ে তিনি নিজের আশা জানান। তিনি বলেন, ‘একটা সিরিজ বা এনসিএল দেখে কাউকে বাদ দেওয়া মুশকিল। সেটা যেমন সত্যি। এখানে যে ডর নক (দরজায় কাড়ানাড়া) করতে থাকবে। সেটা ওখানেও পৌছে যায়। আমি নিশ্চিত যারা জাতীয় দলে খেলে তারা যদি খারাপ খেলে তারা ঐ নকের আওয়াজ শুনতে পাবে। এটা সহজ প্রক্রিয়া। আমার কিছু করা লাগবে না। এটা সিস্টেমে হয়ে যাবে। যে নক করছে সে যদি গুড এনাফ হয়। সে চলে আসবে। যে ভেতরে আছে পারফর্ম করতে না পারে সে ভেতর থেকে বাইরে চলে আসবে। এই সিস্টেমে চলে আসলে। তারপরও যদি থাকে আমরা চেষ্টা করব।’