প্রশ্ন: রাতে নখ কাটলে কি কোনো ক্ষতি হয়? অনেকে বলেন, রাতে নখ কাটলে রিজিক কমে যায় এটা কি ঠিক?
উত্তর: রাতে নখ কাটলে রিজিক কমে যায় এই ধারণা সঠিক নয়। রাতে নখ কাটলে অন্য কোনো ক্ষতিও হয় না এবং রাতে নখ কাটা অনুত্তমও নয়। কোরআন-হাদিসে রাতে নখ কাটতে নিষেধ বা অনুৎসাহিতও করা হয়নি। তাই কেউ নখ রাতে নখ কাটার সুযোগ পেলে রাতেই নখ কাটতে পারেন।
নিয়মিত নখ কাটা, গোঁফ ছাঁটা, নাভি ও বগলের নিচের অবাঞ্চিত লোম পরিস্কার করা যেমন স্বাভাবিক পরিচ্ছন্নতার অন্তর্ভুক্ত, একইসাথে নবীজি (সা.) ও পূর্ববর্তী সব নবীদের সুন্নত। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, পাঁচটি কাজ ফিতরতের (মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতার) অন্তর্ভুক্ত; খতনা করা, নাভির নিচের পশম কাটা, নখ কাটা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা এবং গোঁফ ছাঁটা। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
তাই নখ বড় হয়ে গেলে দ্রুত কেটে ফেলা উচিত। ইসলামি আইন বিশারদদের প্রতি সপ্তাহেই একবার হাত ও পায়ের নখ কাটা সুন্নত আর তা জুমার দিনে করা উত্তম। প্রতি সপ্তাহে সম্ভব না হলে প্রতি দুই সপ্তাহে একবার, এর চেয়েও দেরি হলে সর্বোচ্চ ৪০ দিনে যেন একবার অবশ্যই হাত-পায়ের নখ কাটা হয়, গোঁফ ছাটা হয় এবং অবাঞ্চিত লোম পরিস্কার করা হয়। এর চেয়ে দেরি করা মাকরুহ।
আনাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নখ ও গোঁফ কাটা এবং বগলের চুল উপড়ানো ও নাভির নিচের পশম পরিষ্কারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন যে, তা যেন চল্লিশ রাতের বেশি না রাখা হয়। (সহিহ মুসলিম)
নখ কাটলে কি অজু ভেঙে যায়?
নখ কাটা সম্পর্কে আরেকটি মাসআলা যা অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন সেটা হলো, নখ কাটলে অজু ভাঙে কি না? এই প্রশ্নের উত্তর হলো, অজু করার পর নখ কাটলে অজু ভাঙে না। তাই অজু অবস্থায় নখ কাটার পর নতুন করে অজু করার প্রয়োজন নেই।
হাসান বসরি (রহ.) থেকে বর্ণিত রয়েছে তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে কেউ অজু করার পর চুল বা নখ কাটলে তার অজুর ক্ষতি হয় কি না, নতুন করে অজু করতে হবে কি না। তিনি বলেছিলেন, এ সব কারণে অজুর কোনো ক্ষতি হয় না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৫৭৬)
ওএফএফ

2 hours ago
4









English (US) ·