কুড়িগ্রামের চিলমারী রাতের আঁধারে রোপা আমন ধান জমি থেকে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার চিলমারী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ (জিডি) দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুদাফৎথানা সরকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিলমারী মডেল থানার ওসি মো. নাজমুস সাকিব সজিব।
ভুক্তভোগীর নাম মাসুদ রানা। তিনি ওই ইউনিয়নের মুদাফৎথানা সরকারপাড়া এলাকার তহছিন আলীর ছেলে।
জিডি সূত্রে অভিযুক্তরা হলেন মো. সাইদুল ইসলাম, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. বিপ্লব মিয়া, মো. ফরহাদ মিয়া, মো. আনজু মিয়া, মো. বাবলা মিয়া, মো. ফারুক মিয়া, মো. রাহুল মিয়া, মোছা. মারুফা বেগম, মো. রুবিনা বেগম, মো. রহিমা বেগম, মোছা. ফরিদা বেগম ও মোছা. সাহেদা বেগম। তারা সবাই মুদাফৎথানা সরকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী মাসুদ রানা বলেন, অভিযুক্তরা সবাই মামলা বাজ, দাঙ্গাবাজ, ভূমিদস্যু, পরম্পদ লোভী এবং আইন অমান্যকারী ব্যক্তি। নিম্ন বর্ণিত তপশিল ভুক্ত জমি আমার বাবা দলিল নং-১৮৪৯, দলিল নং-২১৮২এবং দলিল নং-৮২৪ মূলে ক্রয়সূত্রে মালিক হয়। সেই জমি আমার বাবা ভোগদখল করাকালে শরীরিকভাবে অসুস্থ হয়।
এরই মধ্যে অভিযুক্তরা সেই জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে। বিষয়টি আমি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করলে তারা সমাধান না হলে আমার বোন শাহানাজ পারভীন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। মামলাটি আদালতে চলমান আছে।
তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, সেই জমিতে আমন ধান চাষ করি। আদালতের আদেশ অমান্য করে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে অভিযুক্তরাসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জন মিলে জমির পাকা ধান কেটে নিয়ে যায়। এতে আনুমানিক প্রায় ২০ মণ ধান হবে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৬ হাজার টকা।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল ফোনে কল দিয়েও কোনা সাড়া পাওয়া যায়নি।
ওসি মো. নাজমুস সাকিব সজিব জানান, ধান কাটার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।