‘আজকে নির্বাচন কমিশনার ফোন করে বলেন, বাবা আমাদের বাঁচাও। শিবিরের সন্ত্রাসীরা আমাদের কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে।’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহীর এমন দাবিকে ভিত্তিহীন ও গুজব বলে নাকচ করে দিয়েছে রাকসু নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে এ ধরনের মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনাররা বলেন, রাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে গৃহীত সিদ্ধান্ত সরাসরি শিক্ষার্থী বা মিডিয়ার সামনে ঘোষণা করার প্রয়োজন হয়নি। এ কারণে কোনো সংগঠন কিংবা শিক্ষার্থী কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাননি। কিন্তু ছাত্রদল সভাপতির একটি বক্তব্য ইতোমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে তিনি দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনার একটি সংগঠনের হামলা ঠেকাতে ছাত্রদলকে ডেকেছেন।
কমিশনাররা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, ‘আমরা কেউই তার সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। উক্ত বক্তব্য একান্তই তার নিজের, এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোনো সম্পর্ক নেই।’
তারা আরও জানান, রাকসু নির্বাচন কমিশন অফিসে সন্ত্রাসী হামলার যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কমিশন এ ধরনের গুজবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে সবাইকে ধৈর্য, সহিষ্ণুতা ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম, কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দীন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল হান্নান, অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ, অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক, অধ্যাপক ড. মোহা. এনামুল হক এবং অধ্যাপক ড. পারভেজ আজবাস।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রদল সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী কালবেলাকে বলেন, ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্বাচন কমিশনার ফোনে জানান, তারা রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।’
তিনি আরও দাবি করেন, কমিশনার জানান, গত ২০ তারিখ শিবিরের কর্মীরা প্রো-ভিসি ও অন্যান্য শিক্ষকের ওপর হামলা চালিয়েছিল। এরপর থেকেই তিনি নিজেকে অনিরাপদ মনে করছেন। আজও শিবিরের কর্মীরা উগ্র স্লোগান দিচ্ছিল। যে কোনো সময় তারা হামলা চালাতে পারে—এই আতঙ্কে কমিশনারসহ অন্যরা ভীত হয়ে পড়েন। এ কারণেই আমি বিষয়টি প্রকাশ করি।
কে ফোন দিয়েছিলেন—জানতে চাইলে সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘আমাকে একাধিক শিক্ষক কল করেছিলেন। কয়েকজন শিক্ষার্থীও যোগাযোগ করেছিলেন। তবে যিনি শিবিরের পিটিয়ে মারার আশঙ্কায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তার নাম জানি না। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে কল করেছিলেন।’