রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিজ্ঞান অনুষদের ৮৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৪ শিক্ষক ও ৫৪ শিক্ষার্থী রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব তাদের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা প্রফেসর নাসিমা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান।
তারা অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সনদ ও পুরস্কারের চেক প্রদান করেন। সেখানে অন্যদের মধ্যে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর এম খলিলুর রহমান খান ও পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রফেসর মো. আশরাফুল ইসলাম খানও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে চারজন শিক্ষককে ২০২৩ সালের ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড ও ১৬ জন শিক্ষককে একই বছরের ডিনস্ আর্টিকেল অ্যাওয়ার্ড এবং চারজন শিক্ষককে ২০২৪ সালের ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড ও ১০ জন শিক্ষককে ডিনস্ আর্টিকেল অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়
সেখানে ২০২১ সালের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ২৯ জন এবং ২০২২ সালের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ২৫ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
রাবির জনসংযোগ দফতর জানায়, ডিনস্ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে তিনজন প্রাণ-রসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান, দুজন পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ও একজন ফার্মেসি, পরিসংখ্যান ও গণিত বিভাগের।
ডিনস্ আর্টিকেল অ্যাওয়ার্ড শিক্ষকদের মধ্যে পাঁচজন করে প্রাণ-রসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান, গণিত, পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চারজন পদার্থবিজ্ঞান, দুজন করে ফার্মেসি, রসায়ন ও ফলিত গণিত এবং একজন পরিসংখ্যান বিভাগের।
ডিনস্ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাতজন করে গণিত, রসায়ন, পরিসংখ্যান ও ফার্মেসি; ছয়জন করে পদার্থবিজ্ঞান, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান ও ফলিত গণিত; তিনজন পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট এবং পাঁচজন শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক গবেষক-শিক্ষক ও কৃতী শিক্ষার্থী রয়েছে। এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার মাধ্যমে সেটি দৃশ্যমান হলো। এসব মেধাবী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আগামীতেও তাদের কৃতিত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।
মনির হোসেন মাহিন/আরএইচ/জেআইএম