রাবিতে নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

2 weeks ago 13

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে অনিয়মের অভিযোগ এনে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।

রোববার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড সংলগ্ন উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা।

এসময় ‘নকীব তুমি গদি ছাড়ো, স্বজনপ্রীতি বন্ধ করো’, ‘নকীবালয়ের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘পাকিস্তানি নিয়োগ, মানি না মানবো না’, ‘ছাত্রদলের নিপীড়ন, মানি না মানবো না’, ‘স্বজনপ্রীতি নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’ এমন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদেরকে।

এসময় বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা জানান, আমরা খোঁজ পেয়েছি মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করা হচ্ছে। অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম হয়েও বাদ পড়ছেন, কিন্তু যার অবস্থান ৭ম তারা কিভাবে উত্তীর্ণ হয়? এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন-

এছাড়াও শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড নিয়ে নানা অভিযোগের কথা জানান তারা। এসময় মনোবিজ্ঞান বিভাগের নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিও তোলেন তারা।

এসময় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে ৯ম স্থানে থাকা প্রার্থীদের বাছাই করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত ও সুস্পষ্ট স্বজনপ্রীতির নজির। নকীব স্যারের এমন বৈষম্যমূলক কার্যক্রম শিক্ষাঙ্গনের জন্য লজ্জাজনক। ৫ আগস্টের পরই তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল, কিন্তু এখনো বেহায়ার মতো চেয়ারে বসে আছেন। আমরা দুর্নীতিবাজ ভিসির অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।

ইউট্যাব রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের একটা পায়তারা চলছে। যারা একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী। ১৭ বছর যারা রাজপথে ছিল এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুললো তাদেরকে বেছে বেছে লিখিত পরীক্ষার বাতিল করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা দেখছি সারা বাংলাদেশে যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করে রাখছে তাদের কর্মীদেরকে লিখিত পরীক্ষার নাম করে একটা নীল নকশা বাস্তবায়ন করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ভেঙে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে যারা যোগ্য ক্যানডিডেট তাদের বাদ দিয়ে তাদের কর্মীকে নিয়োগ দিচ্ছে।

জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, আমরা দেখেছি যে লিখিত পরীক্ষার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বাদ পড়ে যাচ্ছে। আমার বিভাগের এক শিক্ষার্থী যে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট, আমার মতে সে যথেষ্ট যোগ্য। কিন্তু তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা লিখিত পরীক্ষা বন্ধ চাচ্ছি এবং যে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। যদি বন্ধ না করে আমরা সোমবার থেকে অনশন ধর্মঘট করবো।

মনির হোসেন মাহিন/এফএ/এমএস

Read Entire Article