শীত শুরু হলেই দলবেঁধে চলে আসে তারা। কলতানে মাতিয়ে তোলে চারপাশ। যা দেখতে ভিড় করে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষ। বলছি ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার রামরাই দীঘির কথা, যেখানে প্রতিবছর শীতে আসে একঝাঁক পরিযায়ী পাখি। বাহারী পাখিদের নিয়ে এবারো পুরো দিঘি সেজেছে নতুন সাজে। পরিযায়ী এসব পাখিদের নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ঠাকুরগাঁও সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাণীশংকৈল উপজেলা। এ উপজেলায় অবস্থিত প্রাচীন রামরাই দীঘি। প্রাচীন জলাশয়গুলোর মধ্যে বৃহত্তম এ দিঘির আয়তন প্রায় ৪২ একর। প্রতিবারের মতো এবারো এই দিঘিতে পাড়ি জমিয়েছে হরেক প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির সমাগম হয়েছে এখানে। পাখির কলতানে মুখর হয়ে উঠেছে দিঘির চারপাশ। যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে পাখি প্রেমিকরা।
পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর ওড়াউড়ির দৃশ্যধারণে মেতেছেন দর্শনার্থীরা। কেউ কেউ আবার নৌকায় চড়ে পাখিদের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণের চেষ্টা করছেন। তুলছেন সেলফিও। রামরাই দিঘিতে পরিযায়ী পাখির অবাধ বিচরণ নজর কেড়েছে সবার। পরিযায়ী পাখির ডানা ঝাপটানোর দৃশ্যে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। তারা পাখির নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
ঠাকুরগাঁও শহর থেকে পাখি দেখতে আসা আব্দুল্লাহ আল সুমন বলেন, এবার প্রথম এলাম পাখি দেখতে। অনেক পাখি এসেছে। পাখিরা সুন্দর করে একসঙ্গে উড়ে যচ্ছে, আবার এসে পানিতে বসছে। অনেক ভালো লাগলো।
হরিপুর থেকে পাখি দেখতে এসেছেন ওমর ফারুক ও তার বন্ধুরা। তারা বলেন, প্রতিবার শীতের সময় আসে পাখিরা। তবে অনেকে এগুলো শিকার করতে চায়। পাখিরা যাতে এখানে নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, পরিযায়ী পাখি কেউ যেন শিকার করতে না পারে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রামরাই দিঘি এই এলাকার ঐতিহ্যবাহী দিঘি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় এটা নজরে রাখি।
এফএ/জেআইএম