রাশিয়া ও ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে নতুন করে এ নিষেধাজ্ঞা।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে একটি ইরানি এয়ারলাইন, একটি শিপিং গ্রুপ এবং রাশিয়ার পোর্ট ওল্যা-৩ নামক জাহাজ। খবর রয়টার্স।
এর আগে ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রমের নেতৃত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মূল উদ্দেশ্য হলো রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং এর অর্থনীতিকে দুর্বল করা।
তবে নিষেধাজ্ঞার আওতা শুধু রাশিয়াতেই সীমাবদ্ধ নয়। রাশিয়ার মিত্র দেশ হিসেবে চীন ও ইরানসহ আরও অনেক দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে। মস্কোকে সমর্থনের অভিযোগে তাদের বিভিন্ন সংস্থাও নিষেধাজ্ঞার শিকার। এমনকি ভারতীয় কিছু কোম্পানিও মাঝেমধ্যে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার দেওয়ার পাশাপাশি পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে বিপুল অর্থ ও সামরিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়লাভের ফলে ইউক্রেনের জন্য এ সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধে আগের চেয়ে নমনীয় অবস্থান নিয়েছেন এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে চেষ্টা করছেন।
যুক্তরাজ্যের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাজ্যের এ সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক অঙ্গনে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে এবং নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া ও ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়বে। এটি তাদের অর্থনীতি এবং কূটনৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করতে পারে। তবে এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও কৌশলগত সম্পর্কেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।